Dhaka রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোড়া গোল-অ্যাসিস্টের রেকর্ড মেসির, প্রথমবার সেমিফাইনালে মায়ামি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লিওনেল মেসির জাদুতে প্রথমবারের মতো মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে-অফের কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠল ইন্টার মায়ামি। রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে ‘বেস্ট অব থ্রি’ সিরিজের বাঁচা-মরার শেষ ম্যাচে ন্যাশভিলকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মায়ামি। এই জয়ে মেসি জোড়া গোল করার পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৪০০তম অ্যাসিস্টের অবিশ্বাস্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।

এবারের প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচে মেসি গোল করলেন পাঁচটি, সহায়তা করলেন তিন গোলে। মায়ামির আট গোলেই তার অবদান। গোলের বাইরের অবদান তো বলে শেষ করার মতো নয়।

ন্যাশভিল এসসিও আরও একবার খাক হলো মেসির তেজে। এই দলের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে তার গোল এখন ১৫টি।

মায়ামির মাঠে দশম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মেসি। নিজেদের অর্ধ থেকেই লম্বা করে দুর্দান্ত বল বাড়ান জর্দি আলবা। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চমৎকারভাবে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে মেসিকে দেন ১৯ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মাতেও সিলভেতি। বাকি কাজ সারেন মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মায়ামির জালে বল পাঠান স্যাম সারিজ।। তবে গোল হয়নি ফাউলের কারণে। পরে দুটি গোল করেন মেসির স্বদেশী উইঙ্গার তাদেও আইয়েন্দে। এর প্রথমটিতেও ছিল মেসির অবদান, দ্বিতীয়টিতে সরাসরি অ্যাসিস্ট।

৭৩তম মিনিটে রদ্রিগো দে পলের ক্রস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসিকে দেন আলবা। মেসি আবার আলতো টোকায় এগিয়ে দেন আলবার দিকেই। এই ডিফেন্ডার এবার কাটব্যাক করেন ঠিক গোলমুখে, যেখান থেকে বল জালে পাঠান আইয়েন্দে।

তিন মিনিট পরই মাঝমাঠ থেকে রক্ষণচেরা এক পাসে আইয়েন্দেকে খুঁজে নেন মেসি। আগুয়ান গোলকিপারের ওপর দিয়ে চিপ করে গোলের ঠিকানা খুঁজে নেন আইয়েন্দে। এই গোল করিয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৪০০ অ্যাসিস্টের ফাইলফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।

নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেস। তবে তার অভাব বুঝতে দেননি অন্যরা। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমি-ফাইনালে আগামী ২২ নভেম্বর মায়ামির প্রতিপক্ষ সিনসিনাটি এফসি। এক ম্যাচেরই লড়াই এটি।

মেসির জন্যও সেটি মেলে ধরছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ন্যাশভিলের বিপক্ষে গোলের জোয়ার বইয়ে দিলেও সিনসিনাটির বিপক্ষে কখনও গোল করতে পারেননি তিনি।

আবহাওয়া

জোড়া গোল-অ্যাসিস্টের রেকর্ড মেসির, প্রথমবার সেমিফাইনালে মায়ামি

প্রকাশের সময় : ১২:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লিওনেল মেসির জাদুতে প্রথমবারের মতো মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে-অফের কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠল ইন্টার মায়ামি। রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে ‘বেস্ট অব থ্রি’ সিরিজের বাঁচা-মরার শেষ ম্যাচে ন্যাশভিলকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মায়ামি। এই জয়ে মেসি জোড়া গোল করার পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৪০০তম অ্যাসিস্টের অবিশ্বাস্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।

এবারের প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচে মেসি গোল করলেন পাঁচটি, সহায়তা করলেন তিন গোলে। মায়ামির আট গোলেই তার অবদান। গোলের বাইরের অবদান তো বলে শেষ করার মতো নয়।

ন্যাশভিল এসসিও আরও একবার খাক হলো মেসির তেজে। এই দলের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে তার গোল এখন ১৫টি।

মায়ামির মাঠে দশম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মেসি। নিজেদের অর্ধ থেকেই লম্বা করে দুর্দান্ত বল বাড়ান জর্দি আলবা। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চমৎকারভাবে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে মেসিকে দেন ১৯ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মাতেও সিলভেতি। বাকি কাজ সারেন মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মায়ামির জালে বল পাঠান স্যাম সারিজ।। তবে গোল হয়নি ফাউলের কারণে। পরে দুটি গোল করেন মেসির স্বদেশী উইঙ্গার তাদেও আইয়েন্দে। এর প্রথমটিতেও ছিল মেসির অবদান, দ্বিতীয়টিতে সরাসরি অ্যাসিস্ট।

৭৩তম মিনিটে রদ্রিগো দে পলের ক্রস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসিকে দেন আলবা। মেসি আবার আলতো টোকায় এগিয়ে দেন আলবার দিকেই। এই ডিফেন্ডার এবার কাটব্যাক করেন ঠিক গোলমুখে, যেখান থেকে বল জালে পাঠান আইয়েন্দে।

তিন মিনিট পরই মাঝমাঠ থেকে রক্ষণচেরা এক পাসে আইয়েন্দেকে খুঁজে নেন মেসি। আগুয়ান গোলকিপারের ওপর দিয়ে চিপ করে গোলের ঠিকানা খুঁজে নেন আইয়েন্দে। এই গোল করিয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৪০০ অ্যাসিস্টের ফাইলফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।

নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেস। তবে তার অভাব বুঝতে দেননি অন্যরা। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমি-ফাইনালে আগামী ২২ নভেম্বর মায়ামির প্রতিপক্ষ সিনসিনাটি এফসি। এক ম্যাচেরই লড়াই এটি।

মেসির জন্যও সেটি মেলে ধরছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ন্যাশভিলের বিপক্ষে গোলের জোয়ার বইয়ে দিলেও সিনসিনাটির বিপক্ষে কখনও গোল করতে পারেননি তিনি।