Dhaka শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকা সেতু

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শতাধিক পরিবার। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলশিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের অবহেলায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দাবি, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। যদিও চলতি বছর চিলমারীতে বৃষ্টিপাত বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কের বেহাল দশা ও সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই পথে এক বছরের বেশি সময় ধরে ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি পায়ে হেঁটে কিংবা বাইসাকেল-রিকশায় করে যাতায়াতেরও সুযোগ নেই। এতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ বিপাকে পড়ছে স্থানীয়রা। ভোগান্তিতে পড়ে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন সেতু সংশ্লিষ্ট সড়কের সুবিধাভোগী অন্তত দেড়শ পরিবারের লোকজন।

উপজেলার পিআইওর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণের কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বিল নিয়ে নির্মাণকাজ শেষে করলেও মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ বন্ধ রাখে। চূড়ান্ত বিল না নিয়ে কাজ ফেলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা উধাও রয়েছে।

দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও নুরনবী বলেন, বছরখানেক আগে সেতুর কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাট না করি কাজ ফেলে রাখা হইছে। সামনে গর্ত করি রাখছে। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় আমরা চলাচল করতে পারতেছি না। কয়েক মাস ধরি এই অবস্থা চলতেছে। এগুলা ঠিক করার জন্য কারও কোনও মাথাব্যথা নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা নারী বিলকিস বলেন, সেতু হইছে। কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলে-মেয়েদের স্কুল যাওয়া আসা নিয়ো খুব সমস্যা হয়। সরকার আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করি দেক।

চিলমারী উপজেলার পিআইও মো. সোহেল রহমান বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি পাওয়া যায়নি। ফলে অবস্থায় পড়ে আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক মেরামত করে সেতুটি যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।

আবহাওয়া

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকা সেতু

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শতাধিক পরিবার। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলশিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের অবহেলায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দাবি, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। যদিও চলতি বছর চিলমারীতে বৃষ্টিপাত বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কের বেহাল দশা ও সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই পথে এক বছরের বেশি সময় ধরে ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি পায়ে হেঁটে কিংবা বাইসাকেল-রিকশায় করে যাতায়াতেরও সুযোগ নেই। এতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ বিপাকে পড়ছে স্থানীয়রা। ভোগান্তিতে পড়ে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন সেতু সংশ্লিষ্ট সড়কের সুবিধাভোগী অন্তত দেড়শ পরিবারের লোকজন।

উপজেলার পিআইওর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণের কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বিল নিয়ে নির্মাণকাজ শেষে করলেও মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ বন্ধ রাখে। চূড়ান্ত বিল না নিয়ে কাজ ফেলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা উধাও রয়েছে।

দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও নুরনবী বলেন, বছরখানেক আগে সেতুর কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাট না করি কাজ ফেলে রাখা হইছে। সামনে গর্ত করি রাখছে। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় আমরা চলাচল করতে পারতেছি না। কয়েক মাস ধরি এই অবস্থা চলতেছে। এগুলা ঠিক করার জন্য কারও কোনও মাথাব্যথা নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা নারী বিলকিস বলেন, সেতু হইছে। কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলে-মেয়েদের স্কুল যাওয়া আসা নিয়ো খুব সমস্যা হয়। সরকার আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করি দেক।

চিলমারী উপজেলার পিআইও মো. সোহেল রহমান বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি পাওয়া যায়নি। ফলে অবস্থায় পড়ে আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক মেরামত করে সেতুটি যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।