Dhaka শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আ.লীগ দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মন্তব্য করেছেন যে, আসন্ন নির্বাচন যেন না হয়, নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত, ভণ্ডুল এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রচারণার অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এ্যানির লক্ষ্মীপুরের বাসভবন প্রাঙ্গণে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা শ্রমিক দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিকই থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকিপাংকি’ থাকতে পারে এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন হবে এটা স্বাভাবিক। সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকবেই। সেটাই তো রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি। কিন্তু আমি মনে করি, কোনো রাজনৈতিক আদর্শে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে না। আমরা যে ভাষায় চলি, যে ভাষায় কথা বলি, সেই ভাষাতেই আমাদের নিজেদের আদর্শ প্রকাশ করা উচিত।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের নেতা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। একটি দলের নায়েবে আমীর, অর্থাৎ দায়িত্বশীল ব্যক্তি কিভাবে বলতে পারেন ‘নো হাংকি পাংকি’? এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে? জনগণ কি এটা গ্রহণ করবে? রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি এমন ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে তা উপহাস ও অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়। রাজনীতি অভিজ্ঞতার বিষয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি যেহেতু দায়িত্বে আছেন, ছাত্র রাজনীতি করেছেন, আবার ডাক্তারও, তাই ভেবেছিলাম তিনি পরিমিত ও দায়িত্বশীলভাবে কথা বলবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের মন বুঝি। আমরা গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই। বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। সহজ-সরল রাজনীতি কোনো জটিলতা নেই। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ছাত্র রাজনীতি করেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখেছি, শিখিয়েছি। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি কিভাবে করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ওই বক্তব্য আমাদের ভালো লাগেনি, একদমই পছন্দ হয়নি।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ঘরে ঘরে মা বোনদেরকে, প্রত্যেক পরিবারে আপনারা যাবেন সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। আমরা যারা বিএনপি করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সকলের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।

নবগঠিত শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, নির্বাচন যেন বানচাল না হয়, এ জন্য শ্রমিক দলকে সজাগ থাকতে হবে। শ্রমিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা শক্তি সঞ্চয় করব। এ শক্তি হলো বিএনপি, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার শক্তি।

তিনি বলেন, আমরা জানি শ্রমিক দল করতে গিয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব জীবন-যাপন করছেন, কেউবা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকে গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন।

জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।

আবহাওয়া

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আ.লীগ দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে : এ্যানি

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মন্তব্য করেছেন যে, আসন্ন নির্বাচন যেন না হয়, নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত, ভণ্ডুল এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রচারণার অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এ্যানির লক্ষ্মীপুরের বাসভবন প্রাঙ্গণে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা শ্রমিক দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিকই থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকিপাংকি’ থাকতে পারে এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন হবে এটা স্বাভাবিক। সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকবেই। সেটাই তো রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি। কিন্তু আমি মনে করি, কোনো রাজনৈতিক আদর্শে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে না। আমরা যে ভাষায় চলি, যে ভাষায় কথা বলি, সেই ভাষাতেই আমাদের নিজেদের আদর্শ প্রকাশ করা উচিত।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের নেতা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। একটি দলের নায়েবে আমীর, অর্থাৎ দায়িত্বশীল ব্যক্তি কিভাবে বলতে পারেন ‘নো হাংকি পাংকি’? এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে? জনগণ কি এটা গ্রহণ করবে? রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি এমন ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে তা উপহাস ও অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়। রাজনীতি অভিজ্ঞতার বিষয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি যেহেতু দায়িত্বে আছেন, ছাত্র রাজনীতি করেছেন, আবার ডাক্তারও, তাই ভেবেছিলাম তিনি পরিমিত ও দায়িত্বশীলভাবে কথা বলবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের মন বুঝি। আমরা গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই। বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। সহজ-সরল রাজনীতি কোনো জটিলতা নেই। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ছাত্র রাজনীতি করেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখেছি, শিখিয়েছি। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি কিভাবে করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ওই বক্তব্য আমাদের ভালো লাগেনি, একদমই পছন্দ হয়নি।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ঘরে ঘরে মা বোনদেরকে, প্রত্যেক পরিবারে আপনারা যাবেন সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। আমরা যারা বিএনপি করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সকলের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।

নবগঠিত শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, নির্বাচন যেন বানচাল না হয়, এ জন্য শ্রমিক দলকে সজাগ থাকতে হবে। শ্রমিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা শক্তি সঞ্চয় করব। এ শক্তি হলো বিএনপি, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার শক্তি।

তিনি বলেন, আমরা জানি শ্রমিক দল করতে গিয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব জীবন-যাপন করছেন, কেউবা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকে গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন।

জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।