Dhaka শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও কিছু পণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা কয়েক মাসের লাগাতার বৃষ্টি ও সরবরাহ সংকটের কারণে দেশের বাজারে সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তবে ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় এবং মাঠে নতুন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রায় ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন সবজির দাম কমতে দেখা গেছে।

শীতের আগমনী বার্তায় রাজধানীর সবজির বাজারে এখন নতুন মৌসুমি সবজির আগমন ঘটেছে, যা দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখছে। অনেক সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে, যদিও কিছু পণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম খুচরায় সেঞ্চুরি পার হয়েছে। সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ প্রচুর, অথচ বাড়ছে মাছের দাও। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সবজি, মাংস ও মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা ও ধুন্দল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ টাকা কমে প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, দেশি শসা ৫০ থেকে ৭০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে ২৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারগুলোতে লাল শাক আঁটিতে ৫ টাকা কমে ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, নতুন কলি পেঁয়াজ বাজারে আসছে। আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু মাছের দাম সেভাবে নিম্নমুখী না হয়ে বরং আরও বেড়েছে। বিক্রেতারা জানালেন, প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায়, আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ এর মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকার দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি আগের মতোই ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হতো। আর সোনালি মুরগির দাম ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশী হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক-দুই টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চালের দাম এখন ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা। ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা ও মোটা ধরনের স্বর্ণা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে বাজারে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। প্যাকেটজাত আটার মধ্যে সেনা, ডায়মন্ড, ফ্রেশ, আফতাবসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আটা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর খোলা ময়দা ৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে কেজিপ্রতি নেপালি মসুর বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। আর মোটা দানার মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে ও অলিগলির দোকানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৌটাজাত ঘি ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি খোলা সাদা চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১১০ টাকা, লালচিনি ১১৫ টাকা, ছোট মুগডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

দুই কেজির প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, কাজু বাদাম কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আবহাওয়া

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও কিছু পণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি

প্রকাশের সময় : ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা কয়েক মাসের লাগাতার বৃষ্টি ও সরবরাহ সংকটের কারণে দেশের বাজারে সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তবে ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় এবং মাঠে নতুন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রায় ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন সবজির দাম কমতে দেখা গেছে।

শীতের আগমনী বার্তায় রাজধানীর সবজির বাজারে এখন নতুন মৌসুমি সবজির আগমন ঘটেছে, যা দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখছে। অনেক সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে, যদিও কিছু পণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম খুচরায় সেঞ্চুরি পার হয়েছে। সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ প্রচুর, অথচ বাড়ছে মাছের দাও। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সবজি, মাংস ও মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা ও ধুন্দল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ টাকা কমে প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, দেশি শসা ৫০ থেকে ৭০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে ২৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারগুলোতে লাল শাক আঁটিতে ৫ টাকা কমে ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, নতুন কলি পেঁয়াজ বাজারে আসছে। আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু মাছের দাম সেভাবে নিম্নমুখী না হয়ে বরং আরও বেড়েছে। বিক্রেতারা জানালেন, প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায়, আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ এর মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকার দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি আগের মতোই ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হতো। আর সোনালি মুরগির দাম ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশী হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক-দুই টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চালের দাম এখন ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা। ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা ও মোটা ধরনের স্বর্ণা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে বাজারে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। প্যাকেটজাত আটার মধ্যে সেনা, ডায়মন্ড, ফ্রেশ, আফতাবসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আটা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর খোলা ময়দা ৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে কেজিপ্রতি নেপালি মসুর বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। আর মোটা দানার মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে ও অলিগলির দোকানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৌটাজাত ঘি ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি খোলা সাদা চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১১০ টাকা, লালচিনি ১১৫ টাকা, ছোট মুগডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

দুই কেজির প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, কাজু বাদাম কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।