Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি উচ্চাকাঙ্খী কারণ এছাড়া দেশ উন্নত হবে না : আমীর খসরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি উচ্চাকাঙ্খী কারণ এছাড়া দেশ উন্নত হবে না। এজন্য আমরা ১ কোটি লোকের কর্মসংস্হানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। দায়িত্ব পেলে ডে ওয়ান থেকে কাজ করবে বিএনপি। এ সময় ক্ষমতায় গেলে পেপাল উন্মুক্ত করে দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পুনঃকল্পনা এবং তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত বই ‘পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস’-এর বিশ্লেষণধর্মী গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তিতে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপি এমন এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে চায় যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেশকে স্বনির্ভর করার প্রতিশ্রুতি আমাদের।

তিনি বলেন, তারেক রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে যে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটির মাধ্যমেই দেশের মানুষকে মুক্ত ও ক্ষমতায়ন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্রের বাতিঘর, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তকের সন্তান। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। খালেদা জিয়ার মতো তার সন্তানও গণতন্ত্রের সংগ্রাম চালিয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন। যখন কোনও দল সংস্কারের কথা বলার সাহস পায়নি, তখন বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বিএনপি বরদাস্ত করবে না। চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে। এর মধ্যে রয়েছে, পারস্পরিক সম্মানবোধ, স্বার্থসংশ্লিষ্ট, ভূরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার ও অভ্যন্তরীণ বিষয় কেউ হস্তক্ষেপ না করার শর্ত।

আমীর খসরু বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রথম প্রবর্তক জিয়াউর রহমান। এরপর গণতন্ত্রের জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই করেছেন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কোনো আপস না করার কারণে তিনি আপসহীন নেত্রী হয়েছেন। তার পরে তারেক রহমান এই গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে তারেক রহমান গণতন্ত্রের বাতিঘর। খালেদা জিয়া যেমন কম্প্রোমাইজ করেননি, তারেক রহমানও কোনো রকম কম্প্রোমাইজ না করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চালানোয় স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বললে অনেকেই বিএনপিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল বলে। অবশ্যই বিএনপি উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল, তারেক রহমানও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কারণ দেশ উন্নয়নের জন্য এ ছাড়া বিকল্প নেই। এজন্য আমরা এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

বিএনপির এ জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, যারা সংস্কারের কথা এখন বলছেন, সবার জানা উচিত- খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে তা ভিশন টোয়েন্টি থার্টির মধ্যে দিয়েছেন। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে কী করতে হবে, সেটাকে মাথায় রেখে দিয়েছেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমান ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাবে পেশ করেছেন। এতেও হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ কোথায় যাবে, সবকিছু ইনক্লুড আছে। এরপর আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা এসেছেন, তাদের কিছু চিন্তা-ভাবনা ইনকরপোরেট করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব আমরা এনেছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি বিবাদ আছে। বিষয়টাকে বিএনপি সহজভাবে নিচ্ছে না। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাচ্ছে তারা এই দুই গ্রুপের মধ্যকার বিভেদকে ব্যবহার করতে চাইছে। সরকারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে, সেই তারা যেনো অপচেষ্টা করতে না পারে সরকারকে সে বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী।

আবহাওয়া

১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : নাহিদ ইসলাম

বিএনপি উচ্চাকাঙ্খী কারণ এছাড়া দেশ উন্নত হবে না : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি উচ্চাকাঙ্খী কারণ এছাড়া দেশ উন্নত হবে না। এজন্য আমরা ১ কোটি লোকের কর্মসংস্হানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। দায়িত্ব পেলে ডে ওয়ান থেকে কাজ করবে বিএনপি। এ সময় ক্ষমতায় গেলে পেপাল উন্মুক্ত করে দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পুনঃকল্পনা এবং তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত বই ‘পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস’-এর বিশ্লেষণধর্মী গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তিতে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপি এমন এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে চায় যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেশকে স্বনির্ভর করার প্রতিশ্রুতি আমাদের।

তিনি বলেন, তারেক রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে যে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটির মাধ্যমেই দেশের মানুষকে মুক্ত ও ক্ষমতায়ন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্রের বাতিঘর, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তকের সন্তান। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। খালেদা জিয়ার মতো তার সন্তানও গণতন্ত্রের সংগ্রাম চালিয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন। যখন কোনও দল সংস্কারের কথা বলার সাহস পায়নি, তখন বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বিএনপি বরদাস্ত করবে না। চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে। এর মধ্যে রয়েছে, পারস্পরিক সম্মানবোধ, স্বার্থসংশ্লিষ্ট, ভূরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার ও অভ্যন্তরীণ বিষয় কেউ হস্তক্ষেপ না করার শর্ত।

আমীর খসরু বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রথম প্রবর্তক জিয়াউর রহমান। এরপর গণতন্ত্রের জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই করেছেন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কোনো আপস না করার কারণে তিনি আপসহীন নেত্রী হয়েছেন। তার পরে তারেক রহমান এই গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে তারেক রহমান গণতন্ত্রের বাতিঘর। খালেদা জিয়া যেমন কম্প্রোমাইজ করেননি, তারেক রহমানও কোনো রকম কম্প্রোমাইজ না করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চালানোয় স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বললে অনেকেই বিএনপিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল বলে। অবশ্যই বিএনপি উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল, তারেক রহমানও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কারণ দেশ উন্নয়নের জন্য এ ছাড়া বিকল্প নেই। এজন্য আমরা এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

বিএনপির এ জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, যারা সংস্কারের কথা এখন বলছেন, সবার জানা উচিত- খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে তা ভিশন টোয়েন্টি থার্টির মধ্যে দিয়েছেন। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে কী করতে হবে, সেটাকে মাথায় রেখে দিয়েছেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমান ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাবে পেশ করেছেন। এতেও হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ কোথায় যাবে, সবকিছু ইনক্লুড আছে। এরপর আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা এসেছেন, তাদের কিছু চিন্তা-ভাবনা ইনকরপোরেট করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব আমরা এনেছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি বিবাদ আছে। বিষয়টাকে বিএনপি সহজভাবে নিচ্ছে না। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাচ্ছে তারা এই দুই গ্রুপের মধ্যকার বিভেদকে ব্যবহার করতে চাইছে। সরকারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে, সেই তারা যেনো অপচেষ্টা করতে না পারে সরকারকে সে বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী।