দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বানের পানি। নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় জেগে উঠছে প্লাবিত এলাকা। তবে কমেনি বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগ।
সিলেটে এখনও পানিবন্দি অন্তত ৩০ লাখ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ বিধ্বস্ত বসতাভিটায় ফিরে গেলেও, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখনও বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। শুধু তাই নয় এবারের দুই দফা বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে সিলেটের ব্যবসায়ীদের।
এদিকে সুনামগঞ্জে গত দুইদিন বৃষ্টি না হওয়ায় উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। কমতে শুরু করেছে হাওর ও নদীর পানি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি মেরামত করার জন্য সরকারি বরাদ্দ পাওয়ায় শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়া, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক স্কুলে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ।
কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ধরলা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। বাড়ি-ঘর থেকে পানি নামলেও শুরু হয়েছে বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগ।