Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক দলের জোট মনোনীত প্রার্থী নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান রেখেই এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে যা গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে ইসির বেশ কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হলো।

এর ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী নিজ দলের প্রতীক ছাড়া বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবে না।

জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিও-তে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আবেদন সাপেক্ষে সেই প্রার্থী যে দলের অন্তর্ভুক্ত, সেই দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকটি জোটবদ্ধভাবে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দিতে পারবে। এই আবেদনটি আর্টিকেল ১১ এর অধীনে তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ইসির কাছে করতে হবে।

এছাড়া সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একগুচ্ছ সংশোধন আনা হয়েছে আরপিওতে। আরপিও সংশোধন হওয়ায় এর আলোকে দ্রুত দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারি করবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যতগুলো আইন আছে তার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত মূল আইনটির নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন বা যাকে বলা হয় আরপিও।

১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের সংবিধান তৈরির পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রথমবারের মতো আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ প্রণয়ন করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে এ আইনে। এর আগে ২০২৩ সালে সংসদে পাস হয় গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩।

নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষের গণঅধিকার কোনগুলো এবং এ অধিকার রক্ষায় নির্বাচন কমিশন কী করবে সে সবই আরপিওতে উল্লেখ আছে। কীভাবে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে- তাও এর মধ্যে বলা আছে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী মাস ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে লড়াই করতে ইতোমধ্যে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। জামায়াতের ইসলামীও সব আসনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাকি দলগুলোও নির্বাচনে লড়তে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আবহাওয়া

জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক দলের জোট মনোনীত প্রার্থী নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান রেখেই এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে যা গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে ইসির বেশ কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হলো।

এর ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী নিজ দলের প্রতীক ছাড়া বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবে না।

জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিও-তে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আবেদন সাপেক্ষে সেই প্রার্থী যে দলের অন্তর্ভুক্ত, সেই দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকটি জোটবদ্ধভাবে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দিতে পারবে। এই আবেদনটি আর্টিকেল ১১ এর অধীনে তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ইসির কাছে করতে হবে।

এছাড়া সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একগুচ্ছ সংশোধন আনা হয়েছে আরপিওতে। আরপিও সংশোধন হওয়ায় এর আলোকে দ্রুত দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারি করবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যতগুলো আইন আছে তার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত মূল আইনটির নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন বা যাকে বলা হয় আরপিও।

১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের সংবিধান তৈরির পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রথমবারের মতো আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ প্রণয়ন করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে এ আইনে। এর আগে ২০২৩ সালে সংসদে পাস হয় গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩।

নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষের গণঅধিকার কোনগুলো এবং এ অধিকার রক্ষায় নির্বাচন কমিশন কী করবে সে সবই আরপিওতে উল্লেখ আছে। কীভাবে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে- তাও এর মধ্যে বলা আছে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী মাস ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে লড়াই করতে ইতোমধ্যে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। জামায়াতের ইসলামীও সব আসনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাকি দলগুলোও নির্বাচনে লড়তে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।