Dhaka মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ বছরেও শেষ হয়নি খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতুর নির্মাণকাজ

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজার সদর উপজেলার নদী ঘেরা ইউনিয়ন ভারুয়াখালী। সদরের অন্য ইউনিয়ন খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডীর সঙ্গে ভারুয়াখালীকে আলাদা করেছে জোয়ারি খাল। তাই ভারুয়াখালীর লোকজনকে জেলা সদরে আসতে হলে রামু কিংবা ঈদগাঁও উপজেলা হয়ে দীর্ঘ ৩০-৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিন বার গাড়ি পরিবর্তন করে আসতে হয়। কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে এবং তাদের দুর্ভোগ কমানোর উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে জোয়ারি খালের ওপর ৪০০ মিটার দীর্ঘ পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে মানুষের দুর্ভোগ তো কমেনি বরং তাদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মাঝামাঝি সময়ে হুইপ সাইমুম সরোয়ার কমলের প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে স্বপ্নের ‘খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতু’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০২১ সালে শুরু হয় দুই পাড়ের লাখো মানুষের স্বপ্নের সেতুটির নির্মাণকাজ। এতে উপকূলীয় এ অঞ্চলের লবণ-চিংড়িচাষিদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ব্রিজ পার হয়ে মাত্র ৯-১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই পৌঁছানো যাবে জেলা শহরে। ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজের গতি ফেরানো যায়নি। ফলে, জরুরি ও দ্রুত যাতায়াতকারীদের এখনো ছোট খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৩৯২ মিটার দীর্ঘ ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু প্রকল্প। কল্প। দুই দফা দরপত্র আহ্বানের পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু করে তমা কনস্ট্রাকশন ও এম এ জাহের লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দফা সময় বাড়িয়েও কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। সেতুর ১৩টি স্প্যানের মধ্যে আটটি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে মূল খালের ওপর এখনো কাজ শুরু হয়নি।

সূত্রের দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কুমিল্লা পাঁচ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের আত্মগোপনে যাওয়ার পর থেকেই প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জমি অধিগ্রহণের জটিলতাও। কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। শিগগিরই সেতুতে বসানো হবে নবম স্প্যান। আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫ বছরেও শেষ হয়নি খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতুর নির্মাণকাজ

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজার সদর উপজেলার নদী ঘেরা ইউনিয়ন ভারুয়াখালী। সদরের অন্য ইউনিয়ন খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডীর সঙ্গে ভারুয়াখালীকে আলাদা করেছে জোয়ারি খাল। তাই ভারুয়াখালীর লোকজনকে জেলা সদরে আসতে হলে রামু কিংবা ঈদগাঁও উপজেলা হয়ে দীর্ঘ ৩০-৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিন বার গাড়ি পরিবর্তন করে আসতে হয়। কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে এবং তাদের দুর্ভোগ কমানোর উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে জোয়ারি খালের ওপর ৪০০ মিটার দীর্ঘ পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে মানুষের দুর্ভোগ তো কমেনি বরং তাদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মাঝামাঝি সময়ে হুইপ সাইমুম সরোয়ার কমলের প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে স্বপ্নের ‘খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতু’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০২১ সালে শুরু হয় দুই পাড়ের লাখো মানুষের স্বপ্নের সেতুটির নির্মাণকাজ। এতে উপকূলীয় এ অঞ্চলের লবণ-চিংড়িচাষিদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ব্রিজ পার হয়ে মাত্র ৯-১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই পৌঁছানো যাবে জেলা শহরে। ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজের গতি ফেরানো যায়নি। ফলে, জরুরি ও দ্রুত যাতায়াতকারীদের এখনো ছোট খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৩৯২ মিটার দীর্ঘ ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু প্রকল্প। কল্প। দুই দফা দরপত্র আহ্বানের পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু করে তমা কনস্ট্রাকশন ও এম এ জাহের লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দফা সময় বাড়িয়েও কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। সেতুর ১৩টি স্প্যানের মধ্যে আটটি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে মূল খালের ওপর এখনো কাজ শুরু হয়নি।

সূত্রের দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কুমিল্লা পাঁচ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের আত্মগোপনে যাওয়ার পর থেকেই প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জমি অধিগ্রহণের জটিলতাও। কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। শিগগিরই সেতুতে বসানো হবে নবম স্প্যান। আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।