Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সরকার সবকিছু করছে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান তাকে এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

বৈঠকে জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর করা স্বাক্ষর নিয়েও কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে এনে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করিয়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। এটি ছিল একটি ঐক্যের মুহূর্ত, যা পরিবর্তনের প্রতি যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে এটি জনগণের আস্থা গঠনে বড় ভূমিকা রাখছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে, যা নির্বাচনের পরিবেশকে আরও অনুকূল করে তুলবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে এবং গণতান্ত্রিক আনন্দ উপভোগ করবে।

অধ্যাপক ইউনূস তরুণদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম তরুণদের নতুনভাবে কথা বলার, যুক্ত হওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছে।

তবে তিনি ভুয়া তথ্য বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন। বলেন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এখন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

সরকারপ্রধান নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।

সাক্ষাতে জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটি আশাব্যঞ্জক।

জার্মান রাষ্ট্রদূত সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে জুলাইয়ে গৃহীত জাতীয় সনদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে দেখা ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।

সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানি যেতে চান। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশবাসীর মধ্যে বেড়ে ওঠা সংযোগকে স্বাগত জানান।

তারা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে কাজ করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে সরকারের নতুন নির্দেশনা জারি

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সরকার সবকিছু করছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান তাকে এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

বৈঠকে জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর করা স্বাক্ষর নিয়েও কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে এনে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করিয়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। এটি ছিল একটি ঐক্যের মুহূর্ত, যা পরিবর্তনের প্রতি যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে এটি জনগণের আস্থা গঠনে বড় ভূমিকা রাখছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে, যা নির্বাচনের পরিবেশকে আরও অনুকূল করে তুলবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে এবং গণতান্ত্রিক আনন্দ উপভোগ করবে।

অধ্যাপক ইউনূস তরুণদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম তরুণদের নতুনভাবে কথা বলার, যুক্ত হওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছে।

তবে তিনি ভুয়া তথ্য বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন। বলেন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এখন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

সরকারপ্রধান নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।

সাক্ষাতে জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটি আশাব্যঞ্জক।

জার্মান রাষ্ট্রদূত সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে জুলাইয়ে গৃহীত জাতীয় সনদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে দেখা ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।

সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানি যেতে চান। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশবাসীর মধ্যে বেড়ে ওঠা সংযোগকে স্বাগত জানান।

তারা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে কাজ করবেন।