Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ টিকা বাধ্যতামূলক, হজযাত্রীদের জন্য সৌদির নির্দেশনা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রী ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য কিছু চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। এতে চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও পীতজ্বরের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব টিকা ছাড়া কোনো হজযাত্রী সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

এতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ টিকা অবশ্যই সৌদি আরবে অনুমোদিত টিকা প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং হজযাত্রার অন্তত ১৪ দিন আগে তা সম্পন্ন করতে হবে। মেনিনজাইটিস টিকা হজযাত্রার কমপক্ষে ১০ দিন আগে গ্রহণ করতে হবে এবং এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

যেসব দেশ পোলিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সেই দেশগুলোর হজযাত্রীদের টিকা যাত্রার কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ আগে নিতে হবে। টিকা গ্রহণের তথ্য আন্তর্জাতিক টিকা সনদে উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া পীতজ্বরের টিকা ৯ মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব হজযাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এ টিকা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়—শুধু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের যাত্রীদের ক্ষেত্রে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনায় আরও জানানো হয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, যেমন: অঙ্গ বিকল, জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক রোগ বা ক্যানসারের চলমান চিকিৎসায় রয়েছেন—তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। হজের সময় বিশাল পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম ও জনসমাগম হয়, যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ যাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থাও রাখা হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত বছরগুলোর হজ আয়োজন এবং কভিড-১৯ মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। সব হাজি যেন সুস্থ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাকিবের গোলে হংকংয়ের বিপক্ষে ড্র করল বাংলাদেশ

৪ টিকা বাধ্যতামূলক, হজযাত্রীদের জন্য সৌদির নির্দেশনা প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রী ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য কিছু চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। এতে চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও পীতজ্বরের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব টিকা ছাড়া কোনো হজযাত্রী সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

এতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ টিকা অবশ্যই সৌদি আরবে অনুমোদিত টিকা প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং হজযাত্রার অন্তত ১৪ দিন আগে তা সম্পন্ন করতে হবে। মেনিনজাইটিস টিকা হজযাত্রার কমপক্ষে ১০ দিন আগে গ্রহণ করতে হবে এবং এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

যেসব দেশ পোলিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সেই দেশগুলোর হজযাত্রীদের টিকা যাত্রার কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ আগে নিতে হবে। টিকা গ্রহণের তথ্য আন্তর্জাতিক টিকা সনদে উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া পীতজ্বরের টিকা ৯ মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব হজযাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এ টিকা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়—শুধু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের যাত্রীদের ক্ষেত্রে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনায় আরও জানানো হয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, যেমন: অঙ্গ বিকল, জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক রোগ বা ক্যানসারের চলমান চিকিৎসায় রয়েছেন—তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। হজের সময় বিশাল পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম ও জনসমাগম হয়, যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ যাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থাও রাখা হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত বছরগুলোর হজ আয়োজন এবং কভিড-১৯ মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। সব হাজি যেন সুস্থ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।