Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কোনো এখতিয়ার নেই। সরকার প্রয়োজন হলে দামের তারতম্য রোধে তার সক্ষমতা ব্যবহার করবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তেলের দাম বাড়বে না, তারপরও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন’—এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এটা আমি স্পষ্ট করে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই। তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশন একটা ফর্মুলা ব্যবহার করে। সেই ফর্মুলার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট করা হয় যে তেলের দাম বাড়ানো হবে কি না। এটা ১৪ বছর আগের তৈরি করা একটা ফর্মুলা। সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মানতে রাজি নই। এ বিষয়ে আইসিএমইবি ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্লেষণের জন্য দিয়েছিলাম। গতকাল আইসিএমইবির কাছ থেকে একটা খসড়া রিপোর্ট আমার হাতে এসেছে। এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের রিপোর্ট পাইনি।

তিনি বলেন, এই মধ্য অবস্থায় তেলর দাম বাড়ানোর বা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের অবকাশ নেই। কিছু মিডিয়া এ রকম নিউজ তৈরি করেছে বলে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ করবো, এ ধরনের সংবেদনশীলতা তৈরি না করার জন্য। তেলের দাম বাড়ানো হবে কি হবে না সেটা পুরো বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেবে। এখন পর্যন্ত তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তাদের এ ধরনের প্রেস রিলিজ দেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত না হয়।

আজকের পর যদি তেলের দাম বেড়ে যায় তখন কী হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিত বাড়বে। কারণ আমরা তো কোনো অনুমোদন দেইনি। আমি যেটা অনুমোদন দেইনি সেটা প্রেস রিলিজ আকারে যাবে কেন?

‘ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা বলেছেন তেলের দাম নির্ধারণের কোনো এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই’—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কথা সঠিক নয়। আপনি কোন আইনের ভিত্তিতে বলছেন যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই অধিকার নেই? কোন বাস্তবতার ভিত্তিতে এ কথা বলছেন? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কয়টি পণ্যর দাম নির্ধারণ করে তার মধ্যে তেল একটা। সব পণ্যের দাম তো নির্ধারণ করে না।

‘বিশ্ব বাজারে তো এখন তেলের দাম বাড়েনি, এমন পরিস্থিতি এ ঘোষণা কী প্রভাব ফেলবে?’—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিশ্লেষণ না করে কিছু বলতে পারবো না। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা তৈরি হবে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলছি, কিছু মিডিয়া বাজারে এ ধরনের অস্থিরতা তৈরি করছে। আমার কাছে এটা সাজানো মনে হচ্ছে।

‘কবে নাগাদ তেলের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন’—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অতিদ্রুত তেলের দাম নির্ধারণ করতে পারবো। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের রিপোর্ট পাওয়ার পর, সরকার তার নিজস্ব সক্ষমতা প্রয়োগ করবে। পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থায় যেন কোনো রকম ঘাটতি না হয় সে ব্যবস্থা করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কোনো এখতিয়ার নেই। সরকার প্রয়োজন হলে দামের তারতম্য রোধে তার সক্ষমতা ব্যবহার করবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তেলের দাম বাড়বে না, তারপরও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন’—এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এটা আমি স্পষ্ট করে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই। তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশন একটা ফর্মুলা ব্যবহার করে। সেই ফর্মুলার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট করা হয় যে তেলের দাম বাড়ানো হবে কি না। এটা ১৪ বছর আগের তৈরি করা একটা ফর্মুলা। সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মানতে রাজি নই। এ বিষয়ে আইসিএমইবি ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্লেষণের জন্য দিয়েছিলাম। গতকাল আইসিএমইবির কাছ থেকে একটা খসড়া রিপোর্ট আমার হাতে এসেছে। এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের রিপোর্ট পাইনি।

তিনি বলেন, এই মধ্য অবস্থায় তেলর দাম বাড়ানোর বা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের অবকাশ নেই। কিছু মিডিয়া এ রকম নিউজ তৈরি করেছে বলে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ করবো, এ ধরনের সংবেদনশীলতা তৈরি না করার জন্য। তেলের দাম বাড়ানো হবে কি হবে না সেটা পুরো বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেবে। এখন পর্যন্ত তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তাদের এ ধরনের প্রেস রিলিজ দেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত না হয়।

আজকের পর যদি তেলের দাম বেড়ে যায় তখন কী হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিত বাড়বে। কারণ আমরা তো কোনো অনুমোদন দেইনি। আমি যেটা অনুমোদন দেইনি সেটা প্রেস রিলিজ আকারে যাবে কেন?

‘ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা বলেছেন তেলের দাম নির্ধারণের কোনো এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই’—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কথা সঠিক নয়। আপনি কোন আইনের ভিত্তিতে বলছেন যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই অধিকার নেই? কোন বাস্তবতার ভিত্তিতে এ কথা বলছেন? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কয়টি পণ্যর দাম নির্ধারণ করে তার মধ্যে তেল একটা। সব পণ্যের দাম তো নির্ধারণ করে না।

‘বিশ্ব বাজারে তো এখন তেলের দাম বাড়েনি, এমন পরিস্থিতি এ ঘোষণা কী প্রভাব ফেলবে?’—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিশ্লেষণ না করে কিছু বলতে পারবো না। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা তৈরি হবে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলছি, কিছু মিডিয়া বাজারে এ ধরনের অস্থিরতা তৈরি করছে। আমার কাছে এটা সাজানো মনে হচ্ছে।

‘কবে নাগাদ তেলের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন’—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অতিদ্রুত তেলের দাম নির্ধারণ করতে পারবো। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের রিপোর্ট পাওয়ার পর, সরকার তার নিজস্ব সক্ষমতা প্রয়োগ করবে। পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থায় যেন কোনো রকম ঘাটতি না হয় সে ব্যবস্থা করবে।