Dhaka সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেখানে-সেখানে থামা নয়, বাসে আসছে কাউন্টারভিত্তিক ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি কাউন্টারভিত্তিক পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকেই যাত্রী ওঠানামা ও টিকিট কাটতে হবে। ফলে রাস্তায় যেখানে-সেখানে বাস থামানো ও নগদ টাকা নেওয়ার প্রথা বন্ধ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ও সময়নিষ্ঠা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সেক্টরে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।

রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর রেল ভবনে সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিবহন সম্পর্কিত খাত নিয়ে কাজ পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) আয়োজিত এক মতবিনিময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাস মালিক সমিতিকে আমরা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে চাই। প্রতিটি বাসের নির্ধারিত কাউন্টার থাকবে, সেখান থেকেই যাত্রী উঠবে এবং ভাড়া নেওয়া হবে। এতে রাস্তার ভিড় ও বিশৃঙ্খলা অনেকটাই কমে আসবে। এই উদ্যোগে বাস মালিক সমিতি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং সড়ক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। প্রকল্পটি পাইলট হিসেবে শুরু হবে এবং এক মাসের মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে। এখন অনেক বাস যেখানে-সেখানে থেমে যাত্রী তোলে, এতে জ্যাম ও দুর্ঘটনা বাড়ে। আমরা চাই এই বিশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসতে। নির্ধারিত কাউন্টার ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীরা আরও নিরাপদ ও স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবেন।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, একইসঙ্গে রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে সিগন্যালাইজেশন প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে সাতটি সিগন্যাল সিস্টেম চালু হয়েছে এবং আরও ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল স্থাপনের কাজ চলছে। প্রথম দিকে মানুষকে নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থায় অভ্যস্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এখন আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছি। দুই মাসের মধ্যে আরও কয়েকটি সিগন্যাল চালু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, পরবর্তী ধাপে রাজধানীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। ডিএনসিসি ও ডিএসিসির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী পর্যায়ে এআই-সহায়ক সিগন্যাল বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। মূল লক্ষ্য হলো পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনা। কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচল ও আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে রাজধানীর যানবাহন ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো সমন্বিত জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান নেই। এই ঘাটতি দূর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। সড়ক বিভাগ এরইমধ্যে এর খসড়া প্রণয়ন শুরু করেছে।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, দেশের পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সমন্বয়ের অভাব। বর্তমানে সড়ক, রেল, সেতু, নৌ ও বিমান প্রত্যেকটি খাত নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছে। এর ফলে এক খাতের কাজ অন্য খাতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের এখনও একটি জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান নেই। এখন আমরা সেই পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছি। এরইমধ্যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এতে সড়ক বিভাগ নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, একজন অধ্যাপক এই প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক থেকেও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হলে পরবর্তী সরকার এটিকে বাস্তবায়নে এগিয়ে নিতে পারবে। দেশের যেকোনো সড়ক, রেল বা অবকাঠামো প্রকল্প ভবিষ্যতে যেন এই মাস্টার প্ল্যানের আওতায় হয়, সেটিই মূল লক্ষ্য। বর্তমানে এসব প্রকল্প খণ্ড খণ্ডভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে যা উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এছাড়া পরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ভিত্তিক ই-টোলিং ব্যবস্থা। এতে টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ অপেক্ষা অনেকটাই কমে যাবে। আমরা চাই টোল গেটে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা নয়, বরং কয়েক সেকেন্ডেই গাড়ি পার হতে পারবে।

বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘ওয়ান পাস ফর এভরিথিং’ প্রকল্পও পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে, যাতে একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে মেট্রোরেল, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন সেবা নেওয়া যায়। মেট্রোরেলে ডিজিটাল টপ-আপ সুবিধা চালুর কাজও চলছে, যাতে যাত্রীরা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে সহজেই কার্ডে রিচার্জ করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এখন একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা। যেখানে সড়ক, রেল, সেতু ও বন্দর সবই এক ছাতার নিচে আসবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যেখানে-সেখানে থামা নয়, বাসে আসছে কাউন্টারভিত্তিক ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি কাউন্টারভিত্তিক পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকেই যাত্রী ওঠানামা ও টিকিট কাটতে হবে। ফলে রাস্তায় যেখানে-সেখানে বাস থামানো ও নগদ টাকা নেওয়ার প্রথা বন্ধ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ও সময়নিষ্ঠা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সেক্টরে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।

রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর রেল ভবনে সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিবহন সম্পর্কিত খাত নিয়ে কাজ পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) আয়োজিত এক মতবিনিময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাস মালিক সমিতিকে আমরা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে চাই। প্রতিটি বাসের নির্ধারিত কাউন্টার থাকবে, সেখান থেকেই যাত্রী উঠবে এবং ভাড়া নেওয়া হবে। এতে রাস্তার ভিড় ও বিশৃঙ্খলা অনেকটাই কমে আসবে। এই উদ্যোগে বাস মালিক সমিতি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং সড়ক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। প্রকল্পটি পাইলট হিসেবে শুরু হবে এবং এক মাসের মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে। এখন অনেক বাস যেখানে-সেখানে থেমে যাত্রী তোলে, এতে জ্যাম ও দুর্ঘটনা বাড়ে। আমরা চাই এই বিশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসতে। নির্ধারিত কাউন্টার ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীরা আরও নিরাপদ ও স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবেন।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, একইসঙ্গে রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে সিগন্যালাইজেশন প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে সাতটি সিগন্যাল সিস্টেম চালু হয়েছে এবং আরও ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল স্থাপনের কাজ চলছে। প্রথম দিকে মানুষকে নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থায় অভ্যস্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এখন আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছি। দুই মাসের মধ্যে আরও কয়েকটি সিগন্যাল চালু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, পরবর্তী ধাপে রাজধানীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। ডিএনসিসি ও ডিএসিসির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী পর্যায়ে এআই-সহায়ক সিগন্যাল বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। মূল লক্ষ্য হলো পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনা। কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচল ও আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে রাজধানীর যানবাহন ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো সমন্বিত জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান নেই। এই ঘাটতি দূর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। সড়ক বিভাগ এরইমধ্যে এর খসড়া প্রণয়ন শুরু করেছে।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, দেশের পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সমন্বয়ের অভাব। বর্তমানে সড়ক, রেল, সেতু, নৌ ও বিমান প্রত্যেকটি খাত নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছে। এর ফলে এক খাতের কাজ অন্য খাতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের এখনও একটি জাতীয় পরিবহন মাস্টার প্ল্যান নেই। এখন আমরা সেই পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছি। এরইমধ্যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এতে সড়ক বিভাগ নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, একজন অধ্যাপক এই প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক থেকেও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হলে পরবর্তী সরকার এটিকে বাস্তবায়নে এগিয়ে নিতে পারবে। দেশের যেকোনো সড়ক, রেল বা অবকাঠামো প্রকল্প ভবিষ্যতে যেন এই মাস্টার প্ল্যানের আওতায় হয়, সেটিই মূল লক্ষ্য। বর্তমানে এসব প্রকল্প খণ্ড খণ্ডভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে যা উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এছাড়া পরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ভিত্তিক ই-টোলিং ব্যবস্থা। এতে টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ অপেক্ষা অনেকটাই কমে যাবে। আমরা চাই টোল গেটে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা নয়, বরং কয়েক সেকেন্ডেই গাড়ি পার হতে পারবে।

বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘ওয়ান পাস ফর এভরিথিং’ প্রকল্পও পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে, যাতে একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে মেট্রোরেল, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন সেবা নেওয়া যায়। মেট্রোরেলে ডিজিটাল টপ-আপ সুবিধা চালুর কাজও চলছে, যাতে যাত্রীরা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে সহজেই কার্ডে রিচার্জ করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এখন একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা। যেখানে সড়ক, রেল, সেতু ও বন্দর সবই এক ছাতার নিচে আসবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।