পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন। এরই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জেরে পাকুন্দিয়ায়ও এ ক্যাম্পেইনের উদ্ভোধন করা হয়।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন।
ক্যাম্পেইনের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূর-এ-আলম খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজিবুল হক, পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফছর উদ্দিন আহম্মদ মানিকসহ স্বাস্থ্য সহকারি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়ায় টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার। এরমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছে ২৯ হাজারের মতো। উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নের ৩০ টি ওয়ার্ডের ৩০ টি ক্যাম্পে একযোগে এই টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। আগামী ১০ দিন স্কুল ভিত্তিক এবং ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এ টিকাদান কর্মসূচী চলবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের সকল শিশু-কিশোর এই টিকা পাবে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকালে এই টিকাদান কর্মসূচী চলবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূর-এ-আলম খান বলেন, জন্মের পর পরই সকল বাচ্চাদের যেমন ইপিআই টিকা সরকার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তেমনই টাইফয়েডের টিকাও বিনামূল্যে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনায় অনলাইন নিবন্ধন ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্দিষ্ট বয়সের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা পাকুন্দিয়া উপজেলার সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি, ০৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি সকল শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান নিশ্চিতকরণের জন্য। আমরা আশাবাদী এই টিকা গ্রহণের মাধ্যমেই বাংলাদেশ টাইফয়েডের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত হবে।