নিজস্ব প্রতিবেদক :
গুমের দুই মামলাসহ তিন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিচার করার ক্ষমতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুমের মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে আইনি কোনো মতামত চাইলে আমরা দেব। তবে আইনের সাধারণ বিধান অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসামিকে আদালতে হাজির করতে হয়। এরপর আদালতই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই গুম ও খুনে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। এই আইনের বিধান চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল। ঠিক ওই সময় আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের ফেসবুক পেজের ওপর সাইবার অ্যাটাক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পেজটাকে সাময়িকভাবে ডিসেবল করে দিয়েছিল তারা। যদিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যুক্তিতর্কে বহু তথ্যপ্রমাণসহ তাদের নিষ্ঠুরতার বর্ণনা যেন গোটা দুনিয়াবাসী জানতে না পারে, এই অপরাধীরা তা চায় না। তাদের সহযোগীরাও এটা চায় না। সেজন্যই আমাদের এই ফেসবুক পেজের ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে তারা। তারা দুনিয়াকে এটা জানতে দিতে চায় না যে বিচারটা কতটা ট্রান্সপারেন্ট বা স্বচ্ছ হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণগুলো কতটা অকাট্য সেটা তারা বুঝতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত এটা উদ্ধার করতে পেরেছি।
অপরাধীদের বার্তা দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মেসেজ বা বার্তা হচ্ছে অপরাধ করে যেমন পার পাওয়া যাবে না, অপরাধীকে রক্ষা করারও কোনো চেষ্টা বাংলাদেশে সফল হবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা কারও প্রতি কোনো রকমের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করছি না। আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য কাজ করছি। কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই।
এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। পুরো প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সোবহান তরফদারসহ অন্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















