Dhaka সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিছু মানুষ বলছে বিএনপি সংস্কার মানে না। আসলে বিএনপিই হচ্ছে সংস্কারের জন্মদাতা। আমরা সব সময়ই সংস্কারের পক্ষে। যারা বলতে চান আমরা সংস্কারের বিপক্ষে, তারা অপরাজনীতি করছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দিন মনির দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সবসময় সংস্কারের পক্ষে ছিলাম, যদিও আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, আমরা না কি সংস্কারের বিরুদ্ধে। পরিষ্কার বলে দিতে চাই, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি, মিডিয়ার স্বাধীনতা- এটাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ের। বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে।

বিএনপি মহাসচিব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন অল্প সময়ের মধ্যে জাগিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশকে, তেমনই কর্মযজ্ঞে হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কিছু সংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ‘৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই স্বাধীন হয়েছিলাম, নতুন চিন্তা করতে পারছি। স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু বাংলাদেশে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করার সংগ্রাম করতে পারছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের পতনের পর শহীদ জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন সংস্কার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দেশকে নতুন পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এখন তারেক রহমানের ৩১ দফার কর্মসূচিতে সেই সংস্কারের পূর্ণ রূপরেখা বিদ্যমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সামনে কঠিন পরীক্ষা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ পরীক্ষিত ও দক্ষ নেতৃত্বকেই বেছে নেবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন,  নির্বাচনে সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে যে দল পরীক্ষিত। অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল, কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে।

পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন তো একটা নতুন ধারণা হঠাৎ করে এসেছে, যে ধারণা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের আদৌ কোনো ধারণাই নেই। সেটা হলো পিআর পদ্ধতি। এই পদ্ধতি সর্ম্পকে এই হাউজের (আলোচনা) মধ্যে কয়জন আছেন, বলেন তো যে পিআর পদ্ধতি বোঝেন, আছেন না কি? উপস্থিত বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের) শীর্ষ নেতারা জবাব দেন- না না, বুঝি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার কমিশন পিআর পদ্ধতি বিষয়টি আনেনি, তবে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল সেই পদ্ধতির কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। আন্দোলনের লক্ষ্য একটাই, সেটি হচ্ছে যে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা। পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট বলেছি এবং জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না। চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু মানুষ গ্রহণ করবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর পর আমরা এক ফ্যাসিস্ট শাসনকে সরিয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম অতি দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন বলে। তিনি চেষ্টা করেছেন, সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন, নতুন কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামী ১৭ তারিখে সেসব প্রস্তাবে সই হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সংস্কারের পক্ষে ছিল। এখনো কেউ কেউ প্রচার করছে যে আমরা সংস্কার চাই না এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। বিএনপি নিজেই সংস্কার আন্দোলনের ফসল।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, কিছু দল বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমরা চাই ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হোক। জনগণ এখনই নির্বাচন চায়। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সুযোগটি যেন হারিয়ে না যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংস্কার কমিশন যেসব বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা যে প্রস্তাব দিচ্ছে এর বেশিরভাগই বিএনপির ৩১ দফায় আগে থেকেই আছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে সনদ স্বাক্ষর করা হবে। যে বিষয়গুলো একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেট নিয়ে যেতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন ধারণা পিআর নিয়ে আদৌ জনগণের ধারণা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংস্কার কমিশন সেই প্রস্তাব আনেনি, এনেছে রাজনৈতিক কয়কেটা দল। পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে। কারণ একটাই, সেটা হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা৷ পিআর জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি আগেই বলেছে এটা হবে না। চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু জনগণ গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চায়। ১৪ মাসে রাতারাতি সংস্কার হয়ে যাবে, জনগণ তা বিশ্বাস করে না। তারা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিছু মানুষ বলছে বিএনপি সংস্কার মানে না। আসলে বিএনপিই হচ্ছে সংস্কারের জন্মদাতা। আমরা সব সময়ই সংস্কারের পক্ষে। যারা বলতে চান আমরা সংস্কারের বিপক্ষে, তারা অপরাজনীতি করছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দিন মনির দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সবসময় সংস্কারের পক্ষে ছিলাম, যদিও আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, আমরা না কি সংস্কারের বিরুদ্ধে। পরিষ্কার বলে দিতে চাই, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি, মিডিয়ার স্বাধীনতা- এটাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ের। বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে।

বিএনপি মহাসচিব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন অল্প সময়ের মধ্যে জাগিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশকে, তেমনই কর্মযজ্ঞে হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কিছু সংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ‘৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই স্বাধীন হয়েছিলাম, নতুন চিন্তা করতে পারছি। স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু বাংলাদেশে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করার সংগ্রাম করতে পারছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের পতনের পর শহীদ জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন সংস্কার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দেশকে নতুন পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এখন তারেক রহমানের ৩১ দফার কর্মসূচিতে সেই সংস্কারের পূর্ণ রূপরেখা বিদ্যমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সামনে কঠিন পরীক্ষা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ পরীক্ষিত ও দক্ষ নেতৃত্বকেই বেছে নেবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন,  নির্বাচনে সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে যে দল পরীক্ষিত। অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল, কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে।

পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন তো একটা নতুন ধারণা হঠাৎ করে এসেছে, যে ধারণা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের আদৌ কোনো ধারণাই নেই। সেটা হলো পিআর পদ্ধতি। এই পদ্ধতি সর্ম্পকে এই হাউজের (আলোচনা) মধ্যে কয়জন আছেন, বলেন তো যে পিআর পদ্ধতি বোঝেন, আছেন না কি? উপস্থিত বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের) শীর্ষ নেতারা জবাব দেন- না না, বুঝি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার কমিশন পিআর পদ্ধতি বিষয়টি আনেনি, তবে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল সেই পদ্ধতির কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। আন্দোলনের লক্ষ্য একটাই, সেটি হচ্ছে যে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা। পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট বলেছি এবং জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না। চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু মানুষ গ্রহণ করবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর পর আমরা এক ফ্যাসিস্ট শাসনকে সরিয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম অতি দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন বলে। তিনি চেষ্টা করেছেন, সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন, নতুন কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামী ১৭ তারিখে সেসব প্রস্তাবে সই হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সংস্কারের পক্ষে ছিল। এখনো কেউ কেউ প্রচার করছে যে আমরা সংস্কার চাই না এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। বিএনপি নিজেই সংস্কার আন্দোলনের ফসল।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, কিছু দল বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমরা চাই ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হোক। জনগণ এখনই নির্বাচন চায়। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সুযোগটি যেন হারিয়ে না যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংস্কার কমিশন যেসব বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা যে প্রস্তাব দিচ্ছে এর বেশিরভাগই বিএনপির ৩১ দফায় আগে থেকেই আছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে সনদ স্বাক্ষর করা হবে। যে বিষয়গুলো একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেট নিয়ে যেতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন ধারণা পিআর নিয়ে আদৌ জনগণের ধারণা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংস্কার কমিশন সেই প্রস্তাব আনেনি, এনেছে রাজনৈতিক কয়কেটা দল। পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে। কারণ একটাই, সেটা হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা৷ পিআর জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি আগেই বলেছে এটা হবে না। চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু জনগণ গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চায়। ১৪ মাসে রাতারাতি সংস্কার হয়ে যাবে, জনগণ তা বিশ্বাস করে না। তারা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে।