বগুড়ার শেরপুর ও বগুড়া মোটরশ্রমিকদের মধ্যে সংঘটিত মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে বাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেছেন শেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কে নামেনি এই পরিবহনের কোনো বাস, ফলে বগুড়াগামী শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর কার্যালয়ের সভাপতি আরিফুর রহমান জানান, গত রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে শেরপুর কার্যালয়ে শ্রমিক ও কমিটির নেতৃবৃন্দের এক সভায় এ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শেরপুর কোচ টার্মিনালে পৌঁছালে ঢাকাগামী যাত্রী তোলা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও একই দিন সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের কিছু শ্রমিক শেরপুর করতোয়া গেটলক পরিবহনের তিনজন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বগুড়া শহরের ট্রেন স্টেশন রোড থেকে করতোয়া গেটলকের ১৫টি গাড়ি বের করে দেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শেরপুরের শ্রমিকেরা।
শেরপুর কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘শেরপুরের শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার পরও বগুড়ার মোটরশ্রমিক নেতারা বসে মীমাংসা করেননি। এ কারণেই আমাদের শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন।’
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কে করতোয়া গেটলক পরিবহনের বাস বন্ধ থাকায় কয়েক শ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। কেউ জরুরি কাজে, কেউ আদালতে বা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন করতোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা জানান, করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত রোববার রাতেই মালিক সমিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।