Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট হতে পারে : সালাহউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটে কোনো বাধা নেই। সনদে কী থাকবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকবে। এজন রায় হবে চূড়ান্ত। আগামী সংসদ গণভোটের রায় মানতে বাধ্য থাকবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, একমত হয়েছি।

তিনি বলেন, ১০৬ অনুচ্ছেদে আওতায় বিচার বিভাগের পরামর্শ নেয়ার দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। আমরা এখন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নামে অধ্যাদেশ জারি এবং তারপরে গণভোটের পক্ষে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় একটা ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। সর্বশেষ যে রিকমেন্ডেশন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রেরণ করা হবে, সেই বিষয়ে আমরা একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এ বিষয়ে আজকের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।

তিনি বলেন, রেফারেন্ডামের যে প্রশ্নটা এসেছে, এটা মূলত আমাদের বিগত সভার প্রস্তাবের মধ্যে আমি একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম। জুলাই জাতীয় সনদ গ্রহণ করার বিষয়ে এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের সম্মতি আছে কিনা, সেজন্য জনগণের কাছে আমরা যাই। আমরা এটা একটা রাজনৈতিক সভা, এখানে আমরা সব ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গঠিত সব রাজনৈতিক দল, এখানে আমরা আলোচনা করেছি। কিন্তু তারপরও আমরা সব দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে রিপ্রেজেন্ট করি কিনা, এটা একটা প্রশ্ন।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র জনগণের কাছে আমরা যদি এই সম্মতিটা নেই যে, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি; জনগণ তার পক্ষে আছে কিনা। তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি চূড়ান্ত অভিমত, যা সার্বভৌম ক্ষমতার একটি রায়।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, জাতীয় সনদের যে অংশগুলোতে আমরা পুরোপুরিভাবে ঐকমত্য হয়েছি (কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা বা ডিসেন্ট আছে); জনগণ যদি তার পক্ষে রায় দেয়, তবে সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সমস্ত সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবেন। সেই জন্য আমরা সংসদ নির্বাচনের দিন আলাদা একটি ব্যালটে জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনরায় নেওয়ার জন্য বলেছি। এই গণভোট (রেফারেন্ডাম) অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সংবিধানে কোনো সংশোধনী আগে আনতে হবে না।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সনদের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি যেভাবে ঐক্যমত হয়েছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিসেন্ট, সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সব সদস্য তাতে বাধ্য থাকবে। সেই জন্য জুলাই সনদের পক্ষে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আরেকটি আলাদা ব্যালেট রাখার প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা মনে করি, এর জন্য সংবিধানে আলাদা সংশোধনী আনার প্রয়োজন নেই।

ব্রিফিংয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্লাহসহ যুগপতের শরিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভোটের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট হতে পারে : সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটে কোনো বাধা নেই। সনদে কী থাকবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকবে। এজন রায় হবে চূড়ান্ত। আগামী সংসদ গণভোটের রায় মানতে বাধ্য থাকবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, একমত হয়েছি।

তিনি বলেন, ১০৬ অনুচ্ছেদে আওতায় বিচার বিভাগের পরামর্শ নেয়ার দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। আমরা এখন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নামে অধ্যাদেশ জারি এবং তারপরে গণভোটের পক্ষে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় একটা ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। সর্বশেষ যে রিকমেন্ডেশন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রেরণ করা হবে, সেই বিষয়ে আমরা একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এ বিষয়ে আজকের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।

তিনি বলেন, রেফারেন্ডামের যে প্রশ্নটা এসেছে, এটা মূলত আমাদের বিগত সভার প্রস্তাবের মধ্যে আমি একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম। জুলাই জাতীয় সনদ গ্রহণ করার বিষয়ে এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের সম্মতি আছে কিনা, সেজন্য জনগণের কাছে আমরা যাই। আমরা এটা একটা রাজনৈতিক সভা, এখানে আমরা সব ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গঠিত সব রাজনৈতিক দল, এখানে আমরা আলোচনা করেছি। কিন্তু তারপরও আমরা সব দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে রিপ্রেজেন্ট করি কিনা, এটা একটা প্রশ্ন।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র জনগণের কাছে আমরা যদি এই সম্মতিটা নেই যে, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি; জনগণ তার পক্ষে আছে কিনা। তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি চূড়ান্ত অভিমত, যা সার্বভৌম ক্ষমতার একটি রায়।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, জাতীয় সনদের যে অংশগুলোতে আমরা পুরোপুরিভাবে ঐকমত্য হয়েছি (কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা বা ডিসেন্ট আছে); জনগণ যদি তার পক্ষে রায় দেয়, তবে সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সমস্ত সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবেন। সেই জন্য আমরা সংসদ নির্বাচনের দিন আলাদা একটি ব্যালটে জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনরায় নেওয়ার জন্য বলেছি। এই গণভোট (রেফারেন্ডাম) অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সংবিধানে কোনো সংশোধনী আগে আনতে হবে না।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সনদের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি যেভাবে ঐক্যমত হয়েছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিসেন্ট, সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সব সদস্য তাতে বাধ্য থাকবে। সেই জন্য জুলাই সনদের পক্ষে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আরেকটি আলাদা ব্যালেট রাখার প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা মনে করি, এর জন্য সংবিধানে আলাদা সংশোধনী আনার প্রয়োজন নেই।

ব্রিফিংয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্লাহসহ যুগপতের শরিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।