Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ে পুরাতন খেলা শুরু হয়ে গেছে : হাফিজ উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, পাহাড়ে আবার পুরাতন খেলা শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমান পাহাড়ে বাঙালী পাঠানোর কারণেই এখন জনসংখ্যার হার সমান হয়েছে। সেজন্যই এখন ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না তারা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের আয়োজনে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসন আমাদের সেই নয় মাসের যুদ্ধকে মনে করিয়ে দিয়েছে। তাদের প্রতি ধন্যবাদ যারা রাজনীতি না করলে সেই আন্দোলনে নেমে দুঃসাহসিক তরুণরা হাসিনাকে হঠিয়েছে, আল্লাহর রহমতে হাসিনার শাসনের অবসান ঘটেছে।

পিআর প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, দেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের বলবো, আপনারা জনগণের কাছে যান। আপনাদের ম্যানিফেস্টোতে বলেন, ইশতেহারে বলেন, যে আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই এই দেশে। জনগণ যদি আপনাদের সংখ্যাগিষ্ঠতা দেয় তাহলে আপনারা এই ব্যবস্থা চালু করেন। আমরা মাথা পেতে নেবো। কিন্তু এভাবে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এ ধরনের সিস্টেম করতে যাওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। দেশের সর্ববৃহৎ দল রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনই এটি সহ্য করবে না। এভাবে জনগণের ওপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে, নিজস্ব দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনী ব্যবস্থা যার সঙ্গে দেশের জনগণ পরিচিত নয়, এই ব্যবস্থা আমরা চালু হতে দিতে পারি না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, বলেন, এনসিপিকেও আওয়ামী লীগের ওই রোগে ধরেছে। আওয়ামী লীগ যেমন ক্লেইম করে বাংলাদেশ তারাই স্বাধীন করেছে। এনসিপির এই সদ্য সাবালক ছাত্ররা, তারাও বলতে চায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের নাকি তারাই পতন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ৫৮৮ জন সদস্য ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের দেড় মাসের সংগ্রামে জীবন দিয়েছে। এখন তারা মনে করে যে তারাই (এনসিপি) হলো এই রাষ্ট্রের কর্ণধার, তাদের দায়িত্ব এই দেশকে ঠিক করার। কিছু দিন আগে ডাকসু নির্বাচন হলো, এই এনসিপির তো সবাই ছাত্র, তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি বলে দাবি করতো, তারা ১০০ ভোট পায়নি ডাকসু নির্বাচনে। তারা এখন বলতে চায়, পিআর না হলে নির্বাচনই হতে দেবো না।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান বা না পান, ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে। ১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দেবেন, আমি জাতিসংঘে দুবার গেছি এ ধরনের মিটিংয়ে, আমিও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনের বিরাট লটবহর নিয়ে গেছে, এটা বাংলাদেশের জনগণের ট্যাক্সপেয়ারের অর্থের অপচয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিমের পাঁচজন গেছেন, অন্যান্য সাংবাদিকরা তো গেছেন, এটা তো আপনার-আমাদের অর্থের অপচয়। গত বছর তো তিনি ৫৪ জন নিয়ে গিয়েছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু ১০৪ জনকে নিয়ে এভাবে পিকনিক করতে যাওয়া বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশের পক্ষে মানানসই নয়। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলে এরকম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এর চাইতেও বেশি প্রতিনিধিদল নিয়ে জাতিসংঘে বেড়াতে গেছেন, কখনো দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফট, কখনো ফিনল্যান্ডে, কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের লিকওয়ান ইউ তারা এত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, তারাও নরমাল এয়ারলাইন্সে ট্রাভেল করেন। কিন্তু এভাবে দরিদ্র একটা দেশের মানুষ বিমান নিয়ে ওখানে বসিয়ে রাখে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেক টাকা ফি দিতে হয় বিভিন্ন এয়ারপোর্টে। বাংলাদেশর মানুষ অত্যন্ত উদারচেতা, সরকার কঅ করে এটা জানতেও পারে না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুটা প্রেস ফ্রিডম এখানে এসেছে, আমরা জানতে পারি যে সরকার ও সরকার প্রধানরা কী করে। আওয়ামী লীগের লুণ্ঠন তো সীমাহীন, এ ধরনের কাহিনী মাঝে মাঝে বের হয়ে আসছে। একজন প্রতিমন্ত্রী তার ৩৬০টি বাড়ি, শুধু লন্ডনেই ২০০ বাড়ি; দুবাইতে, আমেরিকাতে…।

মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, জনগণের রায়কে ভয় পায় জামায়াত। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আসা কিছু বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দুই-একটি রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে পারে না। ভোটে জিততে পারবে না জেনেই উদ্ভট চিন্তা সামনে এনেছে জামায়াত। জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দিলে তা বিএনপি মেনে নেবে না।

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী দিতে চায় বিএনপি। এরইমধ্যে অর্ধেক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে ত্যাগ, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও ক্লিন ইমেজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী মাঠে নামবে দলটি।

জনপ্রিয়তা বিবেচনায় মিত্র দলগুলোর জন্য ৪০ থেকে ৫০টি আসন ছাড়তে প্রস্তুত বিএনপি। তবে জামায়াতের সঙ্গে জোটের কোনো প্রশ্নই নেই বলে আবারও স্পষ্ট করেন হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব তালিকা মোটামুটি প্রস্তুত। এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয়, ত্যাগী, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

জামায়াত প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, তাদের এখনও শত্রু না ভাবলেও কিছু নেতার বক্তব্য বিব্রতকর। তারা মনে করছে ইতিহাসের কাছাকাছি চলে এসেছে। একজন নেতা বলেছেন, তারা সরকার গঠন করবে আর বিএনপি থাকবে বিরোধী দলে। স্বপ্ন দেখা ভালো, তবে সবকিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার।

এছাড়া এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে তারা বিএনপির ভাবনায় নেই। তবে তিনি শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, যদি কোনোভাবে সংসদে প্রবেশাধিকার লাভ করতে পারে, তবে তা তাদের জন্য সোনায় সোহাগা হবে।

আবহাওয়া

পাহাড়ে পুরাতন খেলা শুরু হয়ে গেছে : হাফিজ উদ্দিন

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, পাহাড়ে আবার পুরাতন খেলা শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমান পাহাড়ে বাঙালী পাঠানোর কারণেই এখন জনসংখ্যার হার সমান হয়েছে। সেজন্যই এখন ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না তারা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের আয়োজনে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসন আমাদের সেই নয় মাসের যুদ্ধকে মনে করিয়ে দিয়েছে। তাদের প্রতি ধন্যবাদ যারা রাজনীতি না করলে সেই আন্দোলনে নেমে দুঃসাহসিক তরুণরা হাসিনাকে হঠিয়েছে, আল্লাহর রহমতে হাসিনার শাসনের অবসান ঘটেছে।

পিআর প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, দেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের বলবো, আপনারা জনগণের কাছে যান। আপনাদের ম্যানিফেস্টোতে বলেন, ইশতেহারে বলেন, যে আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই এই দেশে। জনগণ যদি আপনাদের সংখ্যাগিষ্ঠতা দেয় তাহলে আপনারা এই ব্যবস্থা চালু করেন। আমরা মাথা পেতে নেবো। কিন্তু এভাবে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এ ধরনের সিস্টেম করতে যাওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। দেশের সর্ববৃহৎ দল রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনই এটি সহ্য করবে না। এভাবে জনগণের ওপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে, নিজস্ব দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনী ব্যবস্থা যার সঙ্গে দেশের জনগণ পরিচিত নয়, এই ব্যবস্থা আমরা চালু হতে দিতে পারি না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, বলেন, এনসিপিকেও আওয়ামী লীগের ওই রোগে ধরেছে। আওয়ামী লীগ যেমন ক্লেইম করে বাংলাদেশ তারাই স্বাধীন করেছে। এনসিপির এই সদ্য সাবালক ছাত্ররা, তারাও বলতে চায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের নাকি তারাই পতন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ৫৮৮ জন সদস্য ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের দেড় মাসের সংগ্রামে জীবন দিয়েছে। এখন তারা মনে করে যে তারাই (এনসিপি) হলো এই রাষ্ট্রের কর্ণধার, তাদের দায়িত্ব এই দেশকে ঠিক করার। কিছু দিন আগে ডাকসু নির্বাচন হলো, এই এনসিপির তো সবাই ছাত্র, তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি বলে দাবি করতো, তারা ১০০ ভোট পায়নি ডাকসু নির্বাচনে। তারা এখন বলতে চায়, পিআর না হলে নির্বাচনই হতে দেবো না।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান বা না পান, ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে। ১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দেবেন, আমি জাতিসংঘে দুবার গেছি এ ধরনের মিটিংয়ে, আমিও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনের বিরাট লটবহর নিয়ে গেছে, এটা বাংলাদেশের জনগণের ট্যাক্সপেয়ারের অর্থের অপচয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিমের পাঁচজন গেছেন, অন্যান্য সাংবাদিকরা তো গেছেন, এটা তো আপনার-আমাদের অর্থের অপচয়। গত বছর তো তিনি ৫৪ জন নিয়ে গিয়েছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু ১০৪ জনকে নিয়ে এভাবে পিকনিক করতে যাওয়া বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশের পক্ষে মানানসই নয়। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলে এরকম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এর চাইতেও বেশি প্রতিনিধিদল নিয়ে জাতিসংঘে বেড়াতে গেছেন, কখনো দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফট, কখনো ফিনল্যান্ডে, কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের লিকওয়ান ইউ তারা এত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, তারাও নরমাল এয়ারলাইন্সে ট্রাভেল করেন। কিন্তু এভাবে দরিদ্র একটা দেশের মানুষ বিমান নিয়ে ওখানে বসিয়ে রাখে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেক টাকা ফি দিতে হয় বিভিন্ন এয়ারপোর্টে। বাংলাদেশর মানুষ অত্যন্ত উদারচেতা, সরকার কঅ করে এটা জানতেও পারে না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুটা প্রেস ফ্রিডম এখানে এসেছে, আমরা জানতে পারি যে সরকার ও সরকার প্রধানরা কী করে। আওয়ামী লীগের লুণ্ঠন তো সীমাহীন, এ ধরনের কাহিনী মাঝে মাঝে বের হয়ে আসছে। একজন প্রতিমন্ত্রী তার ৩৬০টি বাড়ি, শুধু লন্ডনেই ২০০ বাড়ি; দুবাইতে, আমেরিকাতে…।

মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, জনগণের রায়কে ভয় পায় জামায়াত। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আসা কিছু বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দুই-একটি রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে পারে না। ভোটে জিততে পারবে না জেনেই উদ্ভট চিন্তা সামনে এনেছে জামায়াত। জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দিলে তা বিএনপি মেনে নেবে না।

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী দিতে চায় বিএনপি। এরইমধ্যে অর্ধেক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে ত্যাগ, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও ক্লিন ইমেজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী মাঠে নামবে দলটি।

জনপ্রিয়তা বিবেচনায় মিত্র দলগুলোর জন্য ৪০ থেকে ৫০টি আসন ছাড়তে প্রস্তুত বিএনপি। তবে জামায়াতের সঙ্গে জোটের কোনো প্রশ্নই নেই বলে আবারও স্পষ্ট করেন হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব তালিকা মোটামুটি প্রস্তুত। এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয়, ত্যাগী, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

জামায়াত প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, তাদের এখনও শত্রু না ভাবলেও কিছু নেতার বক্তব্য বিব্রতকর। তারা মনে করছে ইতিহাসের কাছাকাছি চলে এসেছে। একজন নেতা বলেছেন, তারা সরকার গঠন করবে আর বিএনপি থাকবে বিরোধী দলে। স্বপ্ন দেখা ভালো, তবে সবকিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার।

এছাড়া এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে তারা বিএনপির ভাবনায় নেই। তবে তিনি শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, যদি কোনোভাবে সংসদে প্রবেশাধিকার লাভ করতে পারে, তবে তা তাদের জন্য সোনায় সোহাগা হবে।