নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইইউসহ দেড়শ বিদেশী পর্যবেক্ষক আসবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কয়েক ধাপে এসব পর্যবেক্ষক আসবেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ভোট গণনার সময় পর্যবেক্ষক থাকবেন কিনা, তা জানতে চেয়েছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউ এর প্রাক-নির্বাচনি বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, আজকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) একটা ডেলিগেশন আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। ওনারা এসেছিলেন একটা অ্যাসেসমেন্ট টিম হিসেবে। আমাদের কমিশনের অফিসারদের সঙ্গে সমাপনী বৈঠকটা করে গেলেন। ওনারা আমাদেরকে মূলত কয়েকটা জিনিসের ব্যাপারে ক্লারিফিকেশন চেয়েছেন। ক্লারিফিকেশনটা হচ্ছে যে ওনারা একটা এমওইউ করবেন আমাদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ফরেন মিনিস্ট্রি, আমাদের সঙ্গে এবং ইইউ একটা ত্রিপাক্ষিক এমইউ হবে। যে এমইউ এর ধারাবাহিকতায় ওনাদের প্রতিনিধি দলরা আসবেন। আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে মোটামুটিভাবে আপনাদের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা কত হবে। তো আমাদেরকে যেটা ধারণা দিয়েছেন সেটা হচ্ছে ১৫০ জনের মতো আসবেন।
ইসি সচিব বলেন, ওনারা বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন যেমন ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন কিনা? ভোট প্রধান যে গোপন কক্ষ সেটা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেটা কিভাবে অর্গানাইজ করা হয় সেটা জানতে চেয়েছেন। তারপরে আপনার ভোট কাউন্টিংয়ের সময় থাকতে পারবেন কিনা এই সমস্ত জিনিসগুলো করেছেন। তারা মোটামুটিভাবে চান শিডিউল ঘোষণার সময় থেকে। বিভিন্ন পর্যায়ে আসবেন, সবাই যে একসঙ্গে আসবেন তা না।
আখতার আহমেদ বলেন, ওনাদের অবজারভেশন আমাদের সঙ্গে এবং ফারদার ক্লারিফিকেশন নিয়ে আজকে ফিরে যাচ্ছেন। কালকে ফিরে যাবেন দেশে এবং যাওয়ার পরে ওনারা একটা প্রতিবেদন পাঠাবেন। এমওইউ এর যে ড্রাফটা দিয়েছেন, এখন আমরা পর্যালোচনা করে এই ড্রাফটটা সাইনিং এর ব্যাপারে আগাবো। আমাদের কোনো অবজারভেশন থাকলে জানাবো যে আমাদের এই অবজারভেশন আছে। আর যদি না থাকে তাহলে যা আছে সেটাই হবে।
তিনি বলেন, ১৫০ জনের সবাই যে এক সঙ্গে আসবে তা না নয়। হয়তো ১০ জন আসবে। তারপরে হয়তো ফিরতে যাবে। এখন আমাদেরকে ওরা এই নামগুলোন পাঠাবেন। ওনাদের ডিটেলসসহ যেমন বিদেশী পর্যবেক্ষক আসলে তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের ভিসার ব্যাপার আছে, তাদের পাসপোর্ট ডিটেলস আছে, এখানে একোমোডেশন, অনেকগুলো ব্যাপার আছে, সিকিউরিটিজ আছে, এই সমস্ত বিষয়গুলোকে আমরা পর্যাক্রমিকভাবে টেকআপ করবো।
ইসি সচিব বলেন, এটি তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















