নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, একটি দলকে শাপলা প্রতীক কেন দেয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত আর ইসি কারও কথায় চলে না, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি নিয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীকের দাবীর বিষয়ে সিইসি বলেন, শাপলা চেয়েছিল মাহমুদুর রহমান মান্না দল, নাগরিক ঐক্য প্রথম চেয়েছিল। তখন আলোচনা হয়নি, এখন কেন হচ্ছে। ওদের তো দেয়নি। তখন তো আলোচনা হয়নি। এনসিপির শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে বিধিমালা সংশোধনের চিঠি পেয়েছি। এখন কমিশনে আলাপ আলোচনা করে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবো।
বিধিমালা হওয়ার পর তাদের চিঠি যৌক্তিক কতটুকু, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে নাগরিক চিঠি দিতেই পারে। আর একটা দল, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দল,তারা চিঠি দিতেই পারে। নাগরিক ঐক্য নিবন্ধিত দল। তারা কেটলি প্রতীক পরিবর্তন করে শাপলা চেয়েছে। আমার সঙ্গে দেখাও করেছে। আমরা দিইনি। এরপর শাপলা চেয়েছে এনসিপি। কমিশন নানা বিবেচনায় শাপলা কাউকে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিঠি দেওয়ার মাঝে উনাদের আইনের ব্যত্যয় হতে পারে।
শাপলা আদায় কিভাবে করতে তা জানে এনসিপির, এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথা বলেন। বলার অধিকার আছে। আমরা শোনার ধৈর্য আছে। আমরা শুনেই যাবো। আমাদের কাজ আমরা করবো।
সিইসি বলেন, কানাডা গিয়ে দেখলাম তাদের বোঝার, জানার মধ্যে অনেক গ্যাপ আছে। প্রবাসী ভোটের সিস্টেমটা মাত্র শুরু করলাম। ইসির প্রতি যে আস্থা সেটা আগে রিস্টুর করা দরকার। যে অনাস্থা আছে সেটা ফিরিয়ে আনা দরকার। আমরা আমাদের কর্মযজ্ঞের কথা জানিয়েছি। তারা খুবই সন্তুষ্ট।
সিইসি কানাডায় যাওয়ায় তারা খুব উচ্ছসিত। আমার উপস্থিতিতে তাদের হাই লেবেলের কনফিডেন্স দিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি শরিক হোন, অংশগ্রহণ করুন। একবারে সবকিছু পারফেকশন হয় না। ধীরে ধীরে হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিস্টেম দাঁড় করিয়েছি। আইটি সাপোর্টের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট আমরা ইসশাআল্লাহ নেবো।
মিডল ইস্টে ইসি যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, সৌদি, কাতার, যেয়ে প্রবাসীদের এক করে আলাপ করে পাওয়া যায় না। অ্যাম্বাসিতে তাদের ডেকে এনে কানাডার মতো সচেতনতা সৃষ্টি সহজ নয়। ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিগুলোতর আমরা সফলতা অর্জন করবো। কাজটা সহজভাবে রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেবো।
পার্টি নিবন্ধন এ মাসেই দেবো বলেছিলাম। এখন পত্রপত্রিকায় নানান অভিযোগ আসছে। তাই আমাদের অতিরিক্ত ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাই দুই একদিন দেরি হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। দলগুলোর নাম ও সংখ্যা বলা যাবে না। কারণ এটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নির্বাচন হবে কি না, অনেকে এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টার ঐতিহাসিক নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করছি। কারো কথায় নয় বিবেকের তাড়নায় কাজ করতে চাই, সোজা পথে কারো পক্ষে কাজ করতে চাই না।
রাজনৈতিক দল আমাদের মূল স্টেকহোল্ডার। খেলোয়াড়দের ফাইল করার নিয়ত থেকে বিরত থাকতে হবে। ফাউল যাতে না করতে পারে সব ব্যবস্থা নেবো। যারা নির্বাচনি মাঠে নামবেন, ফাউল করার নিয়তে নামবে না। আমি ধরে নিচ্ছি তারা সুন্দরভাবে সহায়তা করবে