নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ‘শেষলগ্নের নেতৃত্ব দিতে’ শিগগিরই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পারবেন যে, কয়েক সপ্তাহ বলেছিলাম। ইনশাআল্লাহ, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে বিএনপির নির্বাচনি প্রক্রিয়া নয়; গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি, তার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন সব মানুষের নেতা তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৮ মাস আগ থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত মনোনয়নের বিষয়ে কাউকে সবুজ বা লাল সংকেত দেওয়া হয়নি। শিগগিরই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি এত বড় দল যে, এর মনোনয়নপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা যত সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ। কাজেই কে প্রার্থী হবেন, কে হবেন না সেটির জন্য আমাদের স্থানীয় ও জেলার নেতারা আছেন, দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যেসব মানুষ নিজ নিজ এলাকায় উদ্ভাসিত তাদেরই আপনারা দেখতে পাবেন। কিন্তু ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া এবং পত্রপত্রিকায় যেসব স্পেকুলেটেড নিউজ হয়েছে তার ব্যাপারে আমাদের দলের পক্ষ থেকে গত পরশু দলের মুখপাত্র রিজভী আহমেদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দল কাউকে গ্রিন সিগন্যাল বা রেড সিগন্যাল দেয়নি। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেহেতু এটি একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম সেটি আমাদের অব্যাহত।
‘দেশে নাশকতা সৃষ্টির’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলতাম স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল? ১৯৮৬ সালে দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে বলব সংবাদ কর্মীদেরকে, দেশের মানুষকেৃ দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে কাদের। কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আর স্পষ্ট করে বলার দরকার নাই। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, থাকবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। ওনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। ওনারা জনগণের ভালোবাসা অর্জন করার চেয়ে জনগণের ওপর চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ওনারা দেশকে মনে করেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা অমনি ওনারা চালালে দেশবাসী খুশি হবে। এই অন্যায় ওনাদের পূর্বপুরুষরাও করেছেন, ওনারাও করেছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন। মাঠে আসেন, আপনাদের সত্যিকারে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখ্যান করতে হয় জনগণ তা জানে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করা বিএনপির মহাসচিবসহ তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের আওয়ামী লীগের হেনস্তার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। উনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, উনারা জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তারা এই দেশটাকে মনে করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা, অমনি চালাবে। অন্যায় উনাদের পূর্ব পুরুষরা করেছে, উনারাও করছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারে জনগণ জানে তাদেরকে কিভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখ্যান করতে হয়।