Dhaka সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানাখন্দে ভরা নোয়াখালীর অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর ৮০ শতাংশই ছোট-বড় গর্তে বেহাল হয়ে পড়েছে। যা যানবাহন ও মানুষের চলাচলে অনুপোযোগী। সড়কগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রক্ষণাবেক্ষণ করে। গত বছরের বন্যাপরবর্তী দীর্ঘ সময়ে সড়কগুলোর সংস্কার না করায় দিনদিন জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।

৯ উপজেলার মধ্যে সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কবিরহাট, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলায় এলজিইডির অধীনে পাকা, ব্রিক সলিং এবং কাঁচা সড়ক রয়েছে ৯ হাজার ৮৭৯ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাকা ৩ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার, ব্রিক সলিং ২৬৫ কিলোমিটার ও কাঁচা ৫ হাজার ৫৬৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরা। কোথায়ও কোথায়ও সড়ক ভেঙে খালে পড়েছে। গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার হাতিয়া উপজেলা ছাড়া বাকি আটটি উপজেলার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব সড়ক দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল দূরের কথা, হাঁটতে গিয়েও মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলাগুলোর মধ্যে চাটখিলের কচুয়া-সাহাপুর-বটতলী সড়ক, চাটখিল-মনোহরপুর-পাল্লাবাজার সড়ক, খিলপাড়া-দেলিয়াই সড়ক, দশঘরিয়া-সাহাপুর সড়ক, খিলপাড়া-আবিরপাড়া সড়ক, কাচারীবাজার-বারইপাড়া সড়ক, সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া-পদিপাড়া সড়ক, বগাদিয়া-কালিকাপুর সড়ক, বজরা- আমিশাপাড়া সড়ক, বেগমগঞ্জের বাংলাবাজার-পদিপাড়া সড়ক, আমিন বাজার-করিমপুর সড়ক, পলওয়ানবাড়ি-আমিনবাজার সড়ক, রাজগঞ্জ-বাংলাবাজার সড়ক, জয়কৃষ্ণপুর সড়ক, সদর উপজেলার কৃষ্ণরামপুর-বাহাদুরপুর-বাঁধেরহাট কলেজ সড়ক, আন্ডারচর শান্তিরহাট সড়ক, বিনোদপুর-আলীপুর সড়ক, বাহাদুরপুর-গোপীনাথপুর সড়ক, কৃষ্ণরামপুর-বোর্ড অফিস সড়ক, সেনবাগের ছাতারপাইয়া-ডুমুরিয়া সড়ক, সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা তোতার বাজার-হাবিবিয়া মার্কেট সড়ক, জোবায়ের বাজার সড়ক, কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জ এবং হাতিয়া উপজেলার আরো অনেক সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে শুধু ১ হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ব্রিক সলিং ও কাঁচা সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ স্বল্প বরাদ্দে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামত করা যাচ্ছে না। তারপরও সড়ক মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা নোয়াখালীর অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা নোয়াখালীর অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর ৮০ শতাংশই ছোট-বড় গর্তে বেহাল হয়ে পড়েছে। যা যানবাহন ও মানুষের চলাচলে অনুপোযোগী। সড়কগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রক্ষণাবেক্ষণ করে। গত বছরের বন্যাপরবর্তী দীর্ঘ সময়ে সড়কগুলোর সংস্কার না করায় দিনদিন জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।

৯ উপজেলার মধ্যে সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কবিরহাট, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলায় এলজিইডির অধীনে পাকা, ব্রিক সলিং এবং কাঁচা সড়ক রয়েছে ৯ হাজার ৮৭৯ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাকা ৩ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার, ব্রিক সলিং ২৬৫ কিলোমিটার ও কাঁচা ৫ হাজার ৫৬৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরা। কোথায়ও কোথায়ও সড়ক ভেঙে খালে পড়েছে। গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার হাতিয়া উপজেলা ছাড়া বাকি আটটি উপজেলার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব সড়ক দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল দূরের কথা, হাঁটতে গিয়েও মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলাগুলোর মধ্যে চাটখিলের কচুয়া-সাহাপুর-বটতলী সড়ক, চাটখিল-মনোহরপুর-পাল্লাবাজার সড়ক, খিলপাড়া-দেলিয়াই সড়ক, দশঘরিয়া-সাহাপুর সড়ক, খিলপাড়া-আবিরপাড়া সড়ক, কাচারীবাজার-বারইপাড়া সড়ক, সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া-পদিপাড়া সড়ক, বগাদিয়া-কালিকাপুর সড়ক, বজরা- আমিশাপাড়া সড়ক, বেগমগঞ্জের বাংলাবাজার-পদিপাড়া সড়ক, আমিন বাজার-করিমপুর সড়ক, পলওয়ানবাড়ি-আমিনবাজার সড়ক, রাজগঞ্জ-বাংলাবাজার সড়ক, জয়কৃষ্ণপুর সড়ক, সদর উপজেলার কৃষ্ণরামপুর-বাহাদুরপুর-বাঁধেরহাট কলেজ সড়ক, আন্ডারচর শান্তিরহাট সড়ক, বিনোদপুর-আলীপুর সড়ক, বাহাদুরপুর-গোপীনাথপুর সড়ক, কৃষ্ণরামপুর-বোর্ড অফিস সড়ক, সেনবাগের ছাতারপাইয়া-ডুমুরিয়া সড়ক, সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা তোতার বাজার-হাবিবিয়া মার্কেট সড়ক, জোবায়ের বাজার সড়ক, কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জ এবং হাতিয়া উপজেলার আরো অনেক সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে শুধু ১ হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ব্রিক সলিং ও কাঁচা সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ স্বল্প বরাদ্দে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামত করা যাচ্ছে না। তারপরও সড়ক মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।