নিজস্ব প্রতিবেদক :
যাত্রীচাহিদা মেটাতে মেট্রোরেলের সময়সূচিতে আসছে বড় পরিবর্তন। এখন থেকে সকাল ও রাতে আধঘণ্টা করে বাড়বে ট্রেন চলাচলের সময়। পাশাপাশি দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি কমে যাবে গড়ে দুই মিনিট। ফলে ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ারে) সোয়া চার মিনিট পরপর ট্রেন পাওয়া যাবে। বর্তমানে এ সময় ছয় মিনিট অন্তর ট্রেন চালু রয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে দুই সপ্তাহ পর। এর আগে আগামী শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ সময়ও যাত্রী পরিবহন করা হবে।
বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক যাত্রী যাতায়াত করে গড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার। গত ৬ আগস্ট রেকর্ড ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। নতুন সূচি কার্যকর হলে দৈনিক যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, যাত্রীচাহিদা মেটাতে ট্রেনের সংখ্যা ও সময় বাড়ানোর চিন্তা অনেক দিন ধরেই ছিল। লোকবল সংকটের কারণে সম্ভব হয়নি। এখন আমরা প্রস্তুত। এতে যাত্রীর সংখ্যা ও আয়—দুটিই বাড়বে। মানুষের অপেক্ষার সময় কমবে, সড়কের ওপর চাপও হ্রাস পাবে।
ডিএমটিসিএল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। নতুন সূচি চালু হলে ট্রেন ছাড়বে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়। মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায় (বর্তমানে সকাল সাড়ে ৭টায়) এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে (বর্তমানে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে)। শেষ যাত্রী পৌনে ১১টার দিকে নামবে। শুক্রবার বেলা ৩টার পরিবর্তে আড়াইটায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। রাতেও আধঘণ্টা বাড়তি চলাচল করবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল লাইন-৬ এ বর্তমানে ২৪ সেট ট্রেন থাকলেও লাইনে চলে ১৩ সেট। নতুন সূচি কার্যকর হলে ২০ সেট ট্রেন ব্যবহৃত হবে। এতে অলস পড়ে থাকা ট্রেনের ব্যবহার বাড়বে। বর্তমানে দিনে ২৩৭ ট্রিপ হলেও নতুন সূচিতে ট্রিপ সংখ্যা আরও বাড়বে।প্রকল্প নেওয়ার সময় পিক আওয়ারে সাড়ে তিন মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। নতুন সূচি চালু হলে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছাবে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করলেও ২০২৩ সালের শেষ দিনে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয়। বর্তমানে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণকাজ চলছে।