Dhaka রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরিয়ে দেওয়া হলো জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ (সিপিটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামানকে এ পদে স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে।

মোখলেসুর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পদায়ন ও পদোন্নতিতে দীর্ঘদিন বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়।

এ ছাড়া সচিব, সংস্থা প্রধান ও জেলা প্রশাসক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা প্রশাসনের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মোখলেসুর রহমানের দায়িত্বকালীন সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে।

প্রশাসনে চলমান অস্থিরতা নিরসনে নতুন সচিব নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীলরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা এখন সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাউফলে গলায় কলা আটকে শিশুর মৃত্যু

সরিয়ে দেওয়া হলো জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে

প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ (সিপিটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামানকে এ পদে স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে।

মোখলেসুর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পদায়ন ও পদোন্নতিতে দীর্ঘদিন বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়।

এ ছাড়া সচিব, সংস্থা প্রধান ও জেলা প্রশাসক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা প্রশাসনের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মোখলেসুর রহমানের দায়িত্বকালীন সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে।

প্রশাসনে চলমান অস্থিরতা নিরসনে নতুন সচিব নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীলরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা এখন সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।