নিজস্ব প্রতিবেদক :
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবেন। বই ছাপানোর দায়িত্ব কারা পাবে সে তালিকা চলতি মাসেই চূড়ান্ত হবে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছর বই ছাপানোর ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের অভিযোগ ছিলো। যাদের ব্যপারে অনিয়মের অভিযোগ ছিল এবার তাদের কাজ দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, গত বছর বই ছাপানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরে। এবার শিক্ষার্থীরা যেন জানুয়ারিতেই নতুন বই পায় সে জন্য সেপ্টেম্বরে অর্ডার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বাকিগুলো সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেওয়া হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন বই আমাদের দেওয়ার কথা ১ জানুয়ারিতে। কতগুলো আমরা এরইমধ্যে অর্ডার দিয়েছি। তবে আমরা আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্য আজকে বলেছি।
তিনি বলেন, এর আগে যারা যারা পেয়েছিল তাদের বইয়ের মান কেমন ছিল, কাগজের কোয়ালিটি কী ছিল এবং কারা একাধিক পাচ্ছে, মনোপলি হচ্ছে কি না- আমরা সে কারণে লিস্ট থেকে আরেকটু যাচাই-বাছাই করব। আজকে বই কেনার যে প্রস্তাব ছিল সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অনিয়মের সংবাদ আমরা মাঝেমধ্যে পাই, ঠিকমতো করে না। আর একজন একটা অর্ডার নিয়ে বাকিগুলো নিয়ে নিয়েছে, সে ধরনের কিছু কিছু অভিযোগ আছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে বলেছি।
এবার কি জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এবার জানুয়ারিতেই বই পাবে। গতবার তো আমরা নভেম্বারে অর্ডার দিয়েছিলাম। গতবার যেহেতু নভেম্বরে হয়েছিল, এখন মাত্র ২১ সেপ্টেম্বর। আমরা নেক্সট উইকে সম্ভবত আবার বসবো।
গত বছর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেতে মার্চ মাস হয়ে গিয়েছিল, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার জানুয়ারিতেই পাবে। এজন্যই তো সেপ্টেম্বরে নিয়ে আসা হয়েছে।
অনিয়মের তালিকায় কতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে বই ছাপানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত কবে নাগাদ হতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নিয়ে আসুক।
তিনি বলেন, টিকা কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইউনিসেফের সাথে নেগোসিয়েট করে করে টিকার কমিশন কমানোর কথা বলা হয়েছে। কম্পিটিটিভ বিডিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী তিন মাসের টিকা আনা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।