চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঈগল পরিবহনের বাসচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মনসা–বাদামতল এলাকার নয়াহাট গ্যাস পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর দুটি বাসই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে কিছু সময়ের জন্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
নিহতের নাম মোহাম্মদ আরাফাত। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম নুরুল হোসেন।
আহতদের মধ্যে সাতকানিয়ার নাঈম উদ্দিন (২২), লোহাগাড়ার আলিফ উদ্দিন (২৩), রাঙ্গুনিয়ার সৌরভ (২৪), প্রফেসর আহমেদ কবির (৪৮), আসিফ (৩০), রাঙ্গুনিয়ার ইসফাকুল ইসলাম (২৪), পটিয়ার নাসির উদ্দিন (৪৫), বোয়ালখালীর আলী হায়দার (২৫), সাতকানিয়ার ইসমাইল (২৯), কক্সবাজারের ডুলাহাজরার জামাল উদ্দিন (২৫), চকরিয়ার নুরবানু (১৮) ও পটিয়ার মানিক (২৩) রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আরাফাত নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন।
পুলিশ জানায়, পটিয়ার মনসা-বাদামতল এলাকায় ঈগল সার্ভিস বাসের সঙ্গে সৌদিয়া বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত অবস্থায় মোহাম্মদ আরাফাতকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার ভাই রিফাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাই ঈগল বাসের চালক। আমি ওই বাসের হেলপার। আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী সড়কে ছিলাম। উল্টো পাশ থেকে সৌদিয়া বাস আমাদের ধাক্কা দেয়। আমি নিজেও আহত হয়েছি।
বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বাস মিলে ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ১৪ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন, এ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।