ঈদুল আযহা উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। আজ কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে স্টেশন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে টিকেট কাটার সুবিধার ফলে এবার যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। ফলে যারা টিকিট কিনেছেন কেবল মাত্র তারাই স্টেশনে এসে নির্ধারিত ট্রেনের যাত্রা করতে পারছেন। যারা অনলাইনে টিকিট পাননি, তাদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর এক সিট ফাঁকা রেখে রেখে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টিও মানা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে।
রেলওয়ে কতৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, স্টেশনের প্রবেশ পথে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে এবং মুখে মাস্ক নিশ্চিত করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
টিকেট ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে না দিলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে লাখো মানুষের ভিড় জমেছে। স্টেশন কতৃপক্ষ বারবার স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। স্টেশন চত্বরে লাখো মানুষের ভিড়। ৭০ বছরের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুসহ অসংখ্য নারী-পুরুষ ল্যাগেজ, ট্রলিব্যাগ ও বস্তা নিয়ে প্রবেশ করছেন স্টেশন কম্পাউন্ডে। অপরদিকে কমিউটার (লোকাল) ট্রেনের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ।
এছাড়া যারা অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন ভিড়ের কারণে তারাও সামনে এগুতে পারছিলেন না। মানুষের ভিড় ও পরিস্থিতি সামাল দিতে এক পর্যায়ে রেলস্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় চেকপোস্টের মতো ব্যারিকেড বসিয়ে টিকিট আছে কিনা তা দেখেই তবে ভেতরে প্রবেশ করান।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদে সামনে রেখে নিরাপদ রেল ভ্রমণ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত তিনদিন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। সময়মতো ট্রেন স্টেশনে আসছে, স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে।