নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ক্যানসারে ভুগছেন জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তার চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুরে যাওয়াকে মানবিক জায়গা থেকেই দেখা উচিত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত তিনটি নগর মাতৃসদন কেন্দ্র ও আটটি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবন উদ্বোধন (ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে) শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যের পুরো ব্যবস্থাটাই অসুস্থ, যে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চিকিৎসা নিতে বিদেশ গেলেন এ বিষয়টা কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ক্যানসারে আক্রান্ত। ওনার যে চিকিৎসা, উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই যে সিঙ্গাপুরে হচ্ছে, বিষয়টা এমন না, অনেকদিন আগে থেকেই উনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। কন্টিনিউটি তো বজায় রাখতে হবে। ক্যানসারে আক্রান্ত হলে উপদেষ্টা হওয়ার পর চিকিৎসার জায়গা বা হাসপাতাল পরিবর্তন তো করা যায় না। আমার মনে হয় এটা মানবিক বিষয়। এটা মানবিক জায়গা থেকেই দেখা উচিত।
আসিফ মাহমুদ বলেন, চিকিৎসার কন্টিনিউশন…এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিলে অনেক ইমপ্লিকেশন্স আছে, আপনারা এটা অবহিত আছেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা আমাদের সবার দায়িত্ব যারা নীতি নির্ধারণী জায়গায় থাকেন, সামনেও আসবেন- দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাটাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া, যাতে দুরারোগ্য রোগগুলোর চিকিৎসা দেশে পেতে পারি। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা একটি দেশের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল ছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমাদের দেশে চীনের সহযোগিতায় কয়েকটি হাসপাতাল করার ব্যাপারে কমিটমেন্ট এসেছে। এই কাজগুলো হয়ে গেলে আমরা মনে করি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে আত্মনির্ভরশীল হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কমিউনিটি ক্লিনিকের ক্ষেত্রে স্থবিরতা নেমেছে। এ বিষয়ে আপনারা কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না- জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, আরও ভালোভাবে সমন্বয়ের জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের থেকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনবল চিকিৎসক বৃদ্ধির জন্য এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দৃশ্যমান পদক্ষেপ আপনারা দেখতে পাবেন।
উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর অনেক ক্ষেত্রেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। এরই মধ্যেই সেই জায়গাগুলোতেই উন্নতি করতে পেরেছি, আমরা আরও কাজ করে যাচ্ছি।
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা কাজ করছি। ডেঙ্গু নিয়ে কাজের ক্ষেত্রটা অনেক ড্রাইভার্স। জনসচেতনতা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, সবকিছু একসঙ্গে করতে হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে নগরবাসীকে আহ্বান জানাবো- যে বিষয়গুলোতে ডেঙ্গু ছড়ায় সে বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি। টিভিগুলোতে বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো একটু ফলো করা, সচেতনতার দিকগুলো একটু মেনে চলা। যাতে এডিস মশার প্রজনন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ডেঙ্গুর প্রকোপটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের যে এক্সিস্টিং চিকিৎসা ব্যবস্থা, ডেঙ্গুর সময় আসলে একবারে যে চাপটা বাড়ে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ বা মেইনটেইন করাটা কঠিন হয়ে যায়। এজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছি।