নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর তেজগাঁও, কলাবাগান, মিরপুর, ধানমন্ডি, কাফরুল ও ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মকছেদুর ওরফে মোকসেদুর রহমান মোল্লা কিশোর (৪৭), মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. এনামুল হুদা লালু (৬০), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও মতিঝিল থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল গাফফার (৫৬), লালবাগ থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের ৫ নং ইউনিটের আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহারুল ইসলাম টিটু (৪৬), মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম লিয়ন (২৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সাবেক সম্পাদক ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক বর্তমান সম্পাদক নাঈম নোমান (৬০), ডেমরা থানার ৬৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির রাজন (৪২), ভোলা জেলার সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরসামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মাতব্বর (৪৩) ও ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা শাখা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ-সভাপতি শিকদার সোহেল হাজারী (৩০)।
ডিবির বরাতে তালেবুর রহমান জানান, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ডিবি-মতিঝিল বিভাগ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মকছেদুর ওরফে মোকসেদুর রহমান মোল্লা কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন রাত আটটার দিকে কলাবাগান থানার ইস্টার্ন প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এনামুল হুদা লালুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম। একই রাতে আব্দুল গাফফারকে ডিবির একটি টিম পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্রের বরাতে তিনি আরও জানান, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় ডিবি-ওয়ারী বিভাগ লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাহারুল ইসলাম টিটুকে ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম লিয়নকে গ্রেপ্তার করে।
একই রাত সোয়া ১১টার দিকে পল্লবী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নাঈম নোমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
অন্যদিকে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ডেমরা থানার ডগাইর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
একই রাতে ডিবি-গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে মহিউদ্দিন মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করে। শিকদার সোহেল হাজারীকে আজ ভোরে কাফরুল থানাধীন সেনপাড়া পর্বত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।