Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখনো আমরা ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব : সাদিক কায়েম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আগামী এক বছরের জন্য প্রতিনিধিদের কী ভূমিকা হবে তা নিয়ে কার্যনির্বাহী পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ডাকসুর যে পাঁচজন সিনেট সদস্য হতে যাচ্ছেন তাদের নামও ঘোষণা করা হয়।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদসহ পরিষদের অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার মতোই এখনো ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাদিক বলেন, ডাকসুতে আমরা কেউ জয়ী হইনি। ডাকসু হয়েছে মানে আমরা সবাই জিতেছি, জুলাই জিতেছে। নির্বাচনের আগেও আমরা ডোর টু ডোর গিয়েছিলাম। এখনো আমরা ডোর-টু-ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষা- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের কাজ আমাদের প্রশ্ন করা, আর আমাদের দায়িত্ব দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

সাদিক কায়েম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যা সামনে আসলে তার সমাধানে তারা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, এখানে আসলে কারো ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা।

সাদিক কায়েম বলেন, তারা ইতোমধ্যেই সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং শিগগিরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মতামত সংগ্রহ শুরু করবেন। শিগগিরই মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ডাকসুর নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজ প্রথম ওয়াকিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা যে-যেই মতেরই হই না কেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার ভয়েস তুলতে চাই।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এস এম ফরহাদ বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হন।

এছাড়া, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন—সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে মো. যুবাইর বিন নেছারী (এবি জুবায়ের)। সদস্য পদে বিজয়ী হন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

এখনো আমরা ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব : সাদিক কায়েম

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আগামী এক বছরের জন্য প্রতিনিধিদের কী ভূমিকা হবে তা নিয়ে কার্যনির্বাহী পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ডাকসুর যে পাঁচজন সিনেট সদস্য হতে যাচ্ছেন তাদের নামও ঘোষণা করা হয়।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদসহ পরিষদের অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার মতোই এখনো ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাদিক বলেন, ডাকসুতে আমরা কেউ জয়ী হইনি। ডাকসু হয়েছে মানে আমরা সবাই জিতেছি, জুলাই জিতেছে। নির্বাচনের আগেও আমরা ডোর টু ডোর গিয়েছিলাম। এখনো আমরা ডোর-টু-ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষা- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের কাজ আমাদের প্রশ্ন করা, আর আমাদের দায়িত্ব দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

সাদিক কায়েম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যা সামনে আসলে তার সমাধানে তারা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, এখানে আসলে কারো ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা।

সাদিক কায়েম বলেন, তারা ইতোমধ্যেই সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং শিগগিরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মতামত সংগ্রহ শুরু করবেন। শিগগিরই মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ডাকসুর নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজ প্রথম ওয়াকিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা যে-যেই মতেরই হই না কেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার ভয়েস তুলতে চাই।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এস এম ফরহাদ বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হন।

এছাড়া, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন—সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে মো. যুবাইর বিন নেছারী (এবি জুবায়ের)। সদস্য পদে বিজয়ী হন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।