Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালভার্ট ধস, ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : 

খাগড়াছড়ি সদরের গুগড়াছড়ি-কমলছড়ি ঘাটপাড়া কালভার্ট ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। মূল সড়ক থেকে সরে গেছে মাটি। ফলে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়া কালভার্টে স্থানীয়দের তৈরি বাঁশের সাঁকোই এখন একমাত্র ভরসা।

দেড় মাস আগে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কালভার্টটির মুখের মাটি সরে যায়। এরপর থেকে গুগড়াছড়ি, একেপাড়া, নোয়াপাড়া, জিদিপাড়া, কমলছড়ি, ঘাটপাড়া, পাইলটপাড়া, ভূয়াছড়ি, ফুটবিল ও বটতলীসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ দুর্ভোগে আছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের এক দিক ভেঙে গেছে, অন্য পাশও ধসে পড়ার উপক্রম। বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। খুদে শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই স্কুলে যেতে হচ্ছে।

গুগড়াছড়ির বাসিন্দা মংপ্রু মারমা জানান, দুই মাস আগে ভারি বর্ষণে পানির তীব্র স্রোতে কালভার্টের মুখের মাটি ধসে পড়ে। স্থানীয়রা কালভার্টের ওপর সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে পারাপারের ব্যবস্থা করেছে। বয়স্ক ও ছোটরা পার হতে পারছে না। গ্রামের মানুষ কষ্টে আছে।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্রাচিং মারমা, উম্যিচিং মারমা ও নেউচিং মারমা জানান, সাঁকোয় পা দিলে পিচ্ছিল মনে হয়, মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। সাঁকো দিয়ে পার হতে আমাদের ভয় লাগে। বৃষ্টি হলে স্কুলে যেতে পারি না।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জুষি মারমা জানান, আমার ছেলে দুই সপ্তাহ ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। কালভার্ট ভেঙে গেছে। সাঁকোর বাঁশে বৃষ্টির পানি পড়লে পিচ্ছিল হয়ে যায়, তখন স্কুলে যেতে পারে না। শিক্ষার্থীরা পার হবে কী করে, স্কুলে যাবে কিভাবে? সামনে আসছে বার্ষিক পরীক্ষা।

একে পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অপরাজিতা চাকমা বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যাওয়া-আসায় অনেক সমস্যায় পড়ছেন। বাইক, স্কুটি, অটোরিকশা কোনো কিছুই চলাচল করতে পারছে না। ফলে মাঝপথে স্কুটি রেখে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কালভার্টের ওপর সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কালভার্টের ওই পার থেকে স্কুলে আসে। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া-আসা করছে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অনেক টেনশনে থাকি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা জানান, ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। আমরা ইস্টিমেট করে দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কালভার্ট ধস, ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : 

খাগড়াছড়ি সদরের গুগড়াছড়ি-কমলছড়ি ঘাটপাড়া কালভার্ট ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। মূল সড়ক থেকে সরে গেছে মাটি। ফলে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়া কালভার্টে স্থানীয়দের তৈরি বাঁশের সাঁকোই এখন একমাত্র ভরসা।

দেড় মাস আগে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কালভার্টটির মুখের মাটি সরে যায়। এরপর থেকে গুগড়াছড়ি, একেপাড়া, নোয়াপাড়া, জিদিপাড়া, কমলছড়ি, ঘাটপাড়া, পাইলটপাড়া, ভূয়াছড়ি, ফুটবিল ও বটতলীসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ দুর্ভোগে আছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের এক দিক ভেঙে গেছে, অন্য পাশও ধসে পড়ার উপক্রম। বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। খুদে শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই স্কুলে যেতে হচ্ছে।

গুগড়াছড়ির বাসিন্দা মংপ্রু মারমা জানান, দুই মাস আগে ভারি বর্ষণে পানির তীব্র স্রোতে কালভার্টের মুখের মাটি ধসে পড়ে। স্থানীয়রা কালভার্টের ওপর সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে পারাপারের ব্যবস্থা করেছে। বয়স্ক ও ছোটরা পার হতে পারছে না। গ্রামের মানুষ কষ্টে আছে।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্রাচিং মারমা, উম্যিচিং মারমা ও নেউচিং মারমা জানান, সাঁকোয় পা দিলে পিচ্ছিল মনে হয়, মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। সাঁকো দিয়ে পার হতে আমাদের ভয় লাগে। বৃষ্টি হলে স্কুলে যেতে পারি না।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জুষি মারমা জানান, আমার ছেলে দুই সপ্তাহ ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। কালভার্ট ভেঙে গেছে। সাঁকোর বাঁশে বৃষ্টির পানি পড়লে পিচ্ছিল হয়ে যায়, তখন স্কুলে যেতে পারে না। শিক্ষার্থীরা পার হবে কী করে, স্কুলে যাবে কিভাবে? সামনে আসছে বার্ষিক পরীক্ষা।

একে পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অপরাজিতা চাকমা বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যাওয়া-আসায় অনেক সমস্যায় পড়ছেন। বাইক, স্কুটি, অটোরিকশা কোনো কিছুই চলাচল করতে পারছে না। ফলে মাঝপথে স্কুটি রেখে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কালভার্টের ওপর সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কালভার্টের ওই পার থেকে স্কুলে আসে। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া-আসা করছে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অনেক টেনশনে থাকি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা জানান, ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। আমরা ইস্টিমেট করে দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।