Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাহিন সরকার। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাবেক এনসিপি নেতা মাহিন সরকার। এসময় আবু বাকের মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বাকেরের হাত উঁচিয়ে ধরে তার প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেন মাহিন। তিনি বলেন, আবু বাকের মজুমদারের বিজয়ই আমার বিজয় বলে সূচিত হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ঐক্যের চিন্তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে মাহিন সরকার বলেন, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে গণঅভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করার জন্য সবার দায়িত্ব রয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয়, সব জায়গায় গণঅভ্যুত্থানের শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে যে কারও চাইতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তারা বেশি দায়বদ্ধতা অনুভব করবে।

আবু বাকের মজুমদার গণঅভ্যুত্থানের একজন অগ্রসেনানী উল্লেখ করে মাহিন বলেন, তিনি যদি জিএস পদে নির্বাচিত হতে পারেন, সেটি আমার বিজয় বলে সূচিত হবে। আমার সমর্থন আমি আবু বাকের মজুমদারের প্রতি ব্যক্ত করছি। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আবু বাকের মজুমদারকে আপনারা জিএস পদে নির্বাচিত করুন। তার বিজয় মাহিন সরকারের বিজয় বলে বিবেচিত হবে।

মাহিন বলেন, এখন প্রার্থীর তালিকায় নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই প্রার্থীদের তালিকায় আমার নাম থাকবে।

এরপর আবু বাকের মজুমদার বলেন, ২০২৪ সালের ৬ জুন মাহিন সরকারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আন্দোলন (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) সফল করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদে আমি বাড়ি যাব না। ’ সেখান থেকে তার সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু।

বাকের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। জুলাইয়ের শুরুর দিক থেকেই বলেছিলেন, আমাদের সংসদ ভবনের দিকে নজর দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

বাকের আরও বলেন, অনেকেই চেয়েছেন, আমরা যেন একসঙ্গে চলি, একসঙ্গে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন সরকার

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাহিন সরকার। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাবেক এনসিপি নেতা মাহিন সরকার। এসময় আবু বাকের মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বাকেরের হাত উঁচিয়ে ধরে তার প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেন মাহিন। তিনি বলেন, আবু বাকের মজুমদারের বিজয়ই আমার বিজয় বলে সূচিত হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ঐক্যের চিন্তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে মাহিন সরকার বলেন, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে গণঅভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করার জন্য সবার দায়িত্ব রয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয়, সব জায়গায় গণঅভ্যুত্থানের শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে যে কারও চাইতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তারা বেশি দায়বদ্ধতা অনুভব করবে।

আবু বাকের মজুমদার গণঅভ্যুত্থানের একজন অগ্রসেনানী উল্লেখ করে মাহিন বলেন, তিনি যদি জিএস পদে নির্বাচিত হতে পারেন, সেটি আমার বিজয় বলে সূচিত হবে। আমার সমর্থন আমি আবু বাকের মজুমদারের প্রতি ব্যক্ত করছি। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আবু বাকের মজুমদারকে আপনারা জিএস পদে নির্বাচিত করুন। তার বিজয় মাহিন সরকারের বিজয় বলে বিবেচিত হবে।

মাহিন বলেন, এখন প্রার্থীর তালিকায় নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই প্রার্থীদের তালিকায় আমার নাম থাকবে।

এরপর আবু বাকের মজুমদার বলেন, ২০২৪ সালের ৬ জুন মাহিন সরকারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আন্দোলন (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) সফল করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদে আমি বাড়ি যাব না। ’ সেখান থেকে তার সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু।

বাকের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। জুলাইয়ের শুরুর দিক থেকেই বলেছিলেন, আমাদের সংসদ ভবনের দিকে নজর দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

বাকের আরও বলেন, অনেকেই চেয়েছেন, আমরা যেন একসঙ্গে চলি, একসঙ্গে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে।