কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
নৌকা আর পায়ে হাঁটার দুর্ভোগ পেরিয়ে কুষ্টিয়া শহরে আসতে হয় কুমারখালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষকে। গড়াই নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় তাদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই এবার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়রা।
জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া, শিলাইদহ, সাদিপুর, নন্দলালপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষকে বর্ষায় নৌকায় এবং গ্রীষ্মে পায়ে হেঁটে ধুধু বালুচর পার হয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শহরে আসতে হয়। গড়াই নদীর ঘোড়াইঘাট-বড়বাজার অংশে একটি সেতুর অভাবে শহরের কাছে থেকেও শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা পেতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করে। কিন্তু নদী পার হওয়ার জন্য বছরের চার-পাঁচ মাস নৌকা এবং বাকি সময় পায়ে হেঁটে বালুচর পার হতে হয়। এতে নৌকাডুবি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি সব সময় থাকে।
গত ৫০ বছরেও ঘোড়াবাজার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি স্থানীয়রা ‘শহীদ আবরার ফাহাদ’ নামে একটি সেতু নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করেছেন।
ভুক্তভোগীরা মনে করেন, সেতুটি নির্মিত হলে শুধু শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়বে না, এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যও প্রসার লাভ করবে। একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে এবং পাবনার সঙ্গেও সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে।
এলজিইডি কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ জানান, গড়াই নদীর ওপর বড়বাজার থেকে ঘোড়াবাজার ঘাট পর্যন্ত একটি সংযোগ সেতু নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর যাচাই-বাছাই কাজ শুরু হবে।