খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি ঘাটপাড়া থেকে গুগুড়াছড়ি সড়কের এ কে পাড়া এলাকায় স্থাপিত সেতুটির সংযোগ সড়কের একাংশ ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে সেখানে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সেতুটির সংযোগ সড়কের ধারক দেয়াল ভেঙে মাটি সরে যায়। এতে সেতুটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় পাহাড়ী ঢলে ভেঙে পড়তে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের মাটি আগেও সরে গিয়েছিল। স্থানীয়রা মাটি ভরাট করে কোনমতে চলাচল করছিল। তবে, চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে সেতুটির সংযোগ সড়কের ধারক দেয়াল ভেঙে মাটি সরে গেছে। এখন সেতুটি দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
এই সেতু দিয়ে স্থানীয় আট গ্রামের মানুষের চলাচল ও মালামাল আনা-নেওয়া চলে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করে। বাঁশের এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে যেকোনো মুহূর্তে শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে যাতায়াতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে এ, কে পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ডলি মারমা ও প্রধান শিক্ষক অপরিসিতা চাকমা জানান, স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়ি সেতুটির ওপাশে। তাদের জন্য সব সময় দুঃশ্চিন্তা হয়। দুর্ঘটনার ভয়ে থাকতে হয়। সেতুটি দ্রুত তৈরির দাবি জানান তারা।
১নং খাগড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরা বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে ৫/৬ মাস আগে এলজিইডিকে অবগত করেছি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। জনস্বার্থে এটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, গুগুড়াছড়ি থেকে সদরের রাস্তার ব্রিজটা অনেক আগে থেকে ভাঙা। ব্রিজটির এপ্রোচের রির্টানিং ওয়াল ভেঙে গিয়েছিল। নতুন করে ব্রিজটি বানাতে ২/৩ মাসের মধ্যে টেন্ডার হবে।