Dhaka বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে একটুও ছাড় নয় : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়েছে। অনেক হিসাব-নিকাশ করেছি। আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। গত এক বছরে জাতীয় নাগরিক পার্টি ছাড় দিয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে এক শতাংশও ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫- এ এসব কথা বলেন তিনি। যুব সম্মেলন আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং জাতীয় যুবশক্তি।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি (জুলাই সনদ) আদায় না করে সরকার যেতে পারবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন, ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই ছিল। আমাদের এই মুহূর্তের বড় সংকট হলো স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখা। যদি রাজনৈতিক দলের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকে তাহলে আরেকটা এক-এগারো আসবে।

তিনি বলেন, ছাড় দিতে দিতে আমরা শেষ পর্যায়ে এসেছি। আমরা এবার আর ছাড় দেবো না। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি (জুলাই সনদ) আদায় না করে সরকার যেতে পারবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, একাত্তরের পরে কীভাবে রক্ষীবাহিনী দিয়ে, বাকশাল তৈরি করে কীভাবে লুটপাট করা হয়েছিল। ৯০-এর পরেও কী হয়েছিল তা আমরা দেখেছি। ২৪-এর অভ্যুত্থানের পর সেই ভুল হতে দেবো না। সমীকরণ এখনো শেষ হয়নি, যারা সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছেন তারা ভুল করছেন।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়েছে, ফলে অনেক ধরনের হিসাব-নিকাশ আমরা করছি। এক বছর আমরা কী পেলাম, তরুণরা কী পেলো, দেশে কী কী পরিবর্তন হলো? গণঅভ্যুত্থানের এক বছরেও নতুন বাংলাদেশ আমরা পাইনি।

নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আরেকটি ১/১১ আসবে এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন চাই। তবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জুলাই সনদে একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, সংশোধন ও সংস্কার নিজেদের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। চাঁদাবাজি কোনও রাজনৈতিক দলের ইমেজের জন্য ভালো নয়। যারা সুবিধা নেয়ার জন্য দলে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নাগরিক পার্টি যেমন রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল এবং সারাদেশে সংগঠিত হচ্ছে তেমনি যুবশক্তিও রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। যুবশক্তি শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির ভ্যানগার্ড নয় দেশের ভ্যানগার্ড হবে। ক্ষমতার নির্ধারকরা যদি তরুণদের প্রতারিত করে তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। জুলাই পদযাত্রা শেষ হয়নি দ্রুত আবার আপনাদের দোড়গোড়ায় যাবো বলেও জানান এনসিপির এই নেতা।

মামলা দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা দিয়ে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম আরও বলেন, আগে এইসব এ্যানি ভাইরা কারাগার থেকে বুক ফুলিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে আসতেন। আমরা তাদের সাহস দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আজ আমি যদি বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ের নামে সত্য কথা বলি, আমার নামে ১০ কোটি টাকার মামলা করা হয়। আমরা স্তব্ধ থাকবো না। আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক কিংবা এনসিপি—আমরা ছাড় দেব না।

সারজিস আলম বলেন, ‘ডিবি অফিসের গারদে রুহুল কবীর রিজভী, শহীদুল ইসলাম, এ্যানি ও অন্যান্য সাহসী নেতাদের সঙ্গে ছোট্ট একটি গারদে থাকার স্মৃতি আজও জীবন্ত। সেই দিনগুলোতে আমরা অনেক বেশি সাহস নিয়ে ফিরতাম।’

তিনি বলেন, ‘আজ তানভীর সিরাজ, ফজলুর রহমানের মতো নেতাদের বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত এক বছরে প্রশাসনের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চাই। একইসঙ্গে হাসিনার আমলের বিগত নির্বাচনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর হয়ে গেছে, গত এক বছরে সরকার কী কী করেছে এটি প্রকাশ করতে হবে। পরে সরকারে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ দেশের মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই ধরনের মিডিয়া আছে কি না, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ডিজিএফআই নিউজ লিখে পাঠায় এবং মিডিয়া তা প্রকাশ করে। তিনি বলেন, মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন এজেন্সি নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করে। এজেন্সি ছবি তুলে পাঠায়, সেটা মিডিয়া প্রকাশ করে। ফলে মিডিয়া এখন জনগণের কণ্ঠস্বর না হয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় যুবশক্তির সদস্য সচিব জাহেদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে একটুও ছাড় নয় : নাহিদ ইসলাম

ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে একটুও ছাড় নয় : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়েছে। অনেক হিসাব-নিকাশ করেছি। আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। গত এক বছরে জাতীয় নাগরিক পার্টি ছাড় দিয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে এক শতাংশও ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫- এ এসব কথা বলেন তিনি। যুব সম্মেলন আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং জাতীয় যুবশক্তি।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি (জুলাই সনদ) আদায় না করে সরকার যেতে পারবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন, ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই ছিল। আমাদের এই মুহূর্তের বড় সংকট হলো স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখা। যদি রাজনৈতিক দলের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকে তাহলে আরেকটা এক-এগারো আসবে।

তিনি বলেন, ছাড় দিতে দিতে আমরা শেষ পর্যায়ে এসেছি। আমরা এবার আর ছাড় দেবো না। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি (জুলাই সনদ) আদায় না করে সরকার যেতে পারবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, একাত্তরের পরে কীভাবে রক্ষীবাহিনী দিয়ে, বাকশাল তৈরি করে কীভাবে লুটপাট করা হয়েছিল। ৯০-এর পরেও কী হয়েছিল তা আমরা দেখেছি। ২৪-এর অভ্যুত্থানের পর সেই ভুল হতে দেবো না। সমীকরণ এখনো শেষ হয়নি, যারা সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছেন তারা ভুল করছেন।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়েছে, ফলে অনেক ধরনের হিসাব-নিকাশ আমরা করছি। এক বছর আমরা কী পেলাম, তরুণরা কী পেলো, দেশে কী কী পরিবর্তন হলো? গণঅভ্যুত্থানের এক বছরেও নতুন বাংলাদেশ আমরা পাইনি।

নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আরেকটি ১/১১ আসবে এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন চাই। তবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জুলাই সনদে একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, সংশোধন ও সংস্কার নিজেদের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। চাঁদাবাজি কোনও রাজনৈতিক দলের ইমেজের জন্য ভালো নয়। যারা সুবিধা নেয়ার জন্য দলে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নাগরিক পার্টি যেমন রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল এবং সারাদেশে সংগঠিত হচ্ছে তেমনি যুবশক্তিও রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। যুবশক্তি শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির ভ্যানগার্ড নয় দেশের ভ্যানগার্ড হবে। ক্ষমতার নির্ধারকরা যদি তরুণদের প্রতারিত করে তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। জুলাই পদযাত্রা শেষ হয়নি দ্রুত আবার আপনাদের দোড়গোড়ায় যাবো বলেও জানান এনসিপির এই নেতা।

মামলা দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা দিয়ে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম আরও বলেন, আগে এইসব এ্যানি ভাইরা কারাগার থেকে বুক ফুলিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে আসতেন। আমরা তাদের সাহস দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আজ আমি যদি বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ের নামে সত্য কথা বলি, আমার নামে ১০ কোটি টাকার মামলা করা হয়। আমরা স্তব্ধ থাকবো না। আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক কিংবা এনসিপি—আমরা ছাড় দেব না।

সারজিস আলম বলেন, ‘ডিবি অফিসের গারদে রুহুল কবীর রিজভী, শহীদুল ইসলাম, এ্যানি ও অন্যান্য সাহসী নেতাদের সঙ্গে ছোট্ট একটি গারদে থাকার স্মৃতি আজও জীবন্ত। সেই দিনগুলোতে আমরা অনেক বেশি সাহস নিয়ে ফিরতাম।’

তিনি বলেন, ‘আজ তানভীর সিরাজ, ফজলুর রহমানের মতো নেতাদের বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত এক বছরে প্রশাসনের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চাই। একইসঙ্গে হাসিনার আমলের বিগত নির্বাচনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর হয়ে গেছে, গত এক বছরে সরকার কী কী করেছে এটি প্রকাশ করতে হবে। পরে সরকারে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ দেশের মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই ধরনের মিডিয়া আছে কি না, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ডিজিএফআই নিউজ লিখে পাঠায় এবং মিডিয়া তা প্রকাশ করে। তিনি বলেন, মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন এজেন্সি নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করে। এজেন্সি ছবি তুলে পাঠায়, সেটা মিডিয়া প্রকাশ করে। ফলে মিডিয়া এখন জনগণের কণ্ঠস্বর না হয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় যুবশক্তির সদস্য সচিব জাহেদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।