Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবহন ধর্মঘট বন্ধের আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অনুগত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুরোনো কায়দায় দেশের মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের ‘পরিবহন ধর্মঘট’ জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (১০ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিবহন সেক্টরে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও মূলত তাদের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। বিগত সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে একচ্ছত্রভাবে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে সড়কে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করে আসছিল। বিগত সরকারের পরিবহন নেতারা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়নে ভূমিকা পালন করেছিলেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের ভুক্তভোগী নাগরিক সমাজের পক্ষে সড়ক আইনে কিছু জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মতামত দেওয়ার জন্য নানা সময়ে নানাভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল।

আরও বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান উৎস এসব পুরোনো গাড়ি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্তে ভেজা নতুন বাংলাদেশে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতারা তাদের শক্তি জানান দিতে পুরোনো কায়দায় জাতিকে জিম্মি করে সড়ক আইন দুর্বল করা ও পুরোনো গাড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, জাতিকে জিম্মি করার ‘পরিবহন ধর্মঘট’ প্রত্যাহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, সড়ক নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখা, পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি উচ্ছেদ করে পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন উন্নত গণপরিবহন চালু করা, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা এবং যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পরিবহন ধর্মঘট বন্ধের আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অনুগত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুরোনো কায়দায় দেশের মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের ‘পরিবহন ধর্মঘট’ জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (১০ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিবহন সেক্টরে নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও মূলত তাদের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। বিগত সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে একচ্ছত্রভাবে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে সড়কে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করে আসছিল। বিগত সরকারের পরিবহন নেতারা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়নে ভূমিকা পালন করেছিলেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের ভুক্তভোগী নাগরিক সমাজের পক্ষে সড়ক আইনে কিছু জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মতামত দেওয়ার জন্য নানা সময়ে নানাভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল।

আরও বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান উৎস এসব পুরোনো গাড়ি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্তে ভেজা নতুন বাংলাদেশে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতারা তাদের শক্তি জানান দিতে পুরোনো কায়দায় জাতিকে জিম্মি করে সড়ক আইন দুর্বল করা ও পুরোনো গাড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, জাতিকে জিম্মি করার ‘পরিবহন ধর্মঘট’ প্রত্যাহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, সড়ক নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখা, পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি উচ্ছেদ করে পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন উন্নত গণপরিবহন চালু করা, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা এবং যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।