নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র যথেষ্ট দায়সারা মনে হয়েছে। মনে হয়েছে একটা বা দুইটা পার্টিকুলার দলকে খুশি করার আকাঙ্ক্ষা এখানে ছিল।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনে আমাদের যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ আলোচনা হচ্ছে, সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিয়েছে, আমরা জুলাই সনদ নিয়ে যে কথা বলছি; সেগুলোর সঙ্গে ঘোষণাপত্রের কোনো ট্যাগ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্র ত্রুটি মুক্ত হতে পারেনি। আপনারা অনলাইনে দেখেছেন জনগণের মধ্যে, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি এই ঘোষণাপত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জুলাই সনদ নিয়ে আমরা যদি সবাই একমত হতে পারি সেখানে যে ভূমিকা থাকবে, সেই ভূমিকা যেন যোগ করা হয় তাহলে কিছুটা কাভার করার সুযোগ থাকবে বলে মনে করি।
তিনি আরো বলেন, এই ঘোষণাপত্রে যে দরদ থাকার কথা ছিল বাক্যে, শব্দে, ভাষায় আমরা সেগুলো দেখতে পাইনি। এটার মধ্যে কোনো প্রাণ ছিল না।
সংস্কার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো এখনই বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন। সংবিধানের ৭-এর ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমরা যারা ঐক্যমত্য কমিশনে বসি তারা সবাই রাষ্ট্রদ্রোহী। জুলাই সনদকে আইনিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল দলের সাথে আলোচনা করে প্লোক্লেমেশন জারি করতে হবে। অন্যথায় অনেক নেতাকেই ফাঁসির মঞ্চে যেতে হবে।
নির্বাচন নেয়ে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন ভালো একটি নির্বাচন করতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে। কমিশন যে গতিতে আগাচ্ছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা তত বাড়বে। তবে ভোটের তারিখ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ সময় প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























