স্পোর্টস ডেস্ক :
আগের ম্যাচে মাত্র অষ্টম মিনিটে হ্যামস্ট্রিং চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন লিওনেল মেসি। যে কারণে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে বেশ কয়েকটি ম্যাচে পাবে না ইন্টার মায়ামি। দলের প্রধান এই তারকাকে ছাড়া খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। মেসির অভাব যেন বুঝতেই দিলেন না রদ্রিগো ডি পল ও লুইস সুয়ারেজরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মেক্সিকান জায়ান্ট পুমাসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। এই জয়ে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। যদিও পুমাসই ম্যাচে প্রথম লিড নিয়েছিল। তবে এরপর মায়ামির হয়ে একটি করে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ডি পল, সুয়ারেজ ও তাদেও আয়েন্দে।
এই জয়ে নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। ৩ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ক্লাবের মধ্যে শীর্ষে আছে তারা।
ঘরের মাঠে আধিপত্য দেখিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ৫৬ শতাংশ বল পজেশন ধরে রেখে ১৮টি শট নিয়ে ৭টিই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মেসিকে ছাড়া খেলতে নামা দলটি। অন্যদিকে পুমাস ১২টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখে।
তবে, ম্যাচের পরিস্থতির বিপরীতেই প্রথম গোল আদায় করে নেয় পুমাস। ৩৪ মিনিটে ভিতে ডি-বক্সে থ্রুবল বাড়ান। ফাঁকায় দাড়ানো রুভালকাবা দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠান।
তবে, গোল শোধ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে কিছুদিন আগে যোগ দেয়া ডি পল ৪৫ মিনিটে সমতায় ফেরান মায়ামিকে।
বাঁ প্রান্তের বাইলাইন থেকে ডি-বক্সে নিচু ক্রস বাঁড়ান সুয়ারেজ। পুমাসের ডিফেন্ডার লাফিয়েও ক্রসের নাগাল পাননি। ফাঁকায় দাঁড়ান ডি পল বল পেয়ে যান, প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এটি মায়ামির হয়ে এই আর্জেন্টাইনের প্রথম গোল।
৪৭ মিনিটে ডি পলের নেয়া প্লেসিং ফ্রিকিক থেকে বল জালে পাঠিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি গোল বাতিল করে দেন। গোল করার সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি।
৫৯ মিনিটে ডি-বক্সে সেগোভিয়ার পা থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়ে হ্যান্ডবল করে বসে পুমাসের এক খেলোয়াড়। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পটকিক থেকে বল জালে পাঠান সুয়ারেজ।
৬৭ মিনিটে আলেন্দের শট ঠেকিয়ে দেন পুমাসের গোলরক্ষক। তবে দুই মিনিট পর আর তার শট ঠেকাতে পারেননি। সুয়ারেজের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে গোল করেন ২৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি। মাঝমাঠ থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ক্রেমাশ্চি। গোলরক্ষককে কাটিয়েও সাইডনেটিং করে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।