Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন নতুন কমিটি করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন নতুন কমিটি করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে সবকিছু আছে। নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। যারা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন তারা কিছু বোঝেন না। ঐকমত্য কমিশনের প্রতিদিন যে সভা চলছে, কতটুকু আবিষ্কার আমরা দেখতে পাচ্ছি। সব সমাধান সংসদে হতে হবে।

তিনি বলেন, সংসদের বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যে বিষয়ে একমত হতে পারব না, সেটি জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। একজনের মত তো আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।

আমীর খসরু বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারগুলো এখনও আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের যদি কোনো সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা সংসদের মধ্য থেকে করতে হবে। সেটার জন্য ম্যন্ডেট জনগণের থেকে নিতে হবে প্রত্যেকটি দলকে। সেটি হতে হবে সংসদের মধ্যে।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, সংসদের বাইরে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বাংলাদেশের আগামীর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় পদ্ধতিতেও বিশ্বাস করে না। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে তারা নিজেরাও জানে না।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যতই সংস্কার করি, কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে না পারি, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। অপরের মতকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। এর মাধ্যমেই দেশকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে যেখানে ঐক্য দরকার, সেখানে ঐক্য করতে হবে।

ঐক্য এখনও অটুট আছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন, দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল ৫ আগস্টের পরে তা অনৈক্য হয়ে গেছে। আমি তো কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তাভাবনা থাকবে। যেখানে আমরা একমত হতে পারবো সেখানে একমত হবো। বাকিটা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে পাস করতে হবে।

জাতীয় স্বার্থে ঐক্য দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে ঐক্য গড়ে তুলতেই হবে।

৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে অনৈক্যের গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, ৫ আগস্টের পর ঐক্য ভেঙে গেছে। আমি কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও দর্শন থাকবেই। যেখানে একমত হতে পারব, সেখানে একমত হব। যেগুলোতে ভিন্নমত থাকবে, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণই দেশের মালিক, সিদ্ধান্ত তাদের হাতেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

নতুন নতুন কমিটি করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন নতুন কমিটি করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে সবকিছু আছে। নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। যারা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন তারা কিছু বোঝেন না। ঐকমত্য কমিশনের প্রতিদিন যে সভা চলছে, কতটুকু আবিষ্কার আমরা দেখতে পাচ্ছি। সব সমাধান সংসদে হতে হবে।

তিনি বলেন, সংসদের বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যে বিষয়ে একমত হতে পারব না, সেটি জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। একজনের মত তো আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।

আমীর খসরু বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারগুলো এখনও আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের যদি কোনো সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা সংসদের মধ্য থেকে করতে হবে। সেটার জন্য ম্যন্ডেট জনগণের থেকে নিতে হবে প্রত্যেকটি দলকে। সেটি হতে হবে সংসদের মধ্যে।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, সংসদের বাইরে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বাংলাদেশের আগামীর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় পদ্ধতিতেও বিশ্বাস করে না। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে তারা নিজেরাও জানে না।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যতই সংস্কার করি, কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে না পারি, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। অপরের মতকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। এর মাধ্যমেই দেশকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে যেখানে ঐক্য দরকার, সেখানে ঐক্য করতে হবে।

ঐক্য এখনও অটুট আছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন, দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল ৫ আগস্টের পরে তা অনৈক্য হয়ে গেছে। আমি তো কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তাভাবনা থাকবে। যেখানে আমরা একমত হতে পারবো সেখানে একমত হবো। বাকিটা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে পাস করতে হবে।

জাতীয় স্বার্থে ঐক্য দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে ঐক্য গড়ে তুলতেই হবে।

৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে অনৈক্যের গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, ৫ আগস্টের পর ঐক্য ভেঙে গেছে। আমি কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও দর্শন থাকবেই। যেখানে একমত হতে পারব, সেখানে একমত হব। যেগুলোতে ভিন্নমত থাকবে, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণই দেশের মালিক, সিদ্ধান্ত তাদের হাতেই।