Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বাড়লে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের নৌপথ উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম মোংলাসহ অন্যান্য পোর্টগুলোতে বেশির ভাগ সমস্যাই ছিল এনবিআর কেন্দ্রীক, তবে বিশেষ করে এনবিআর এর বর্তমান সেটাপের আন্তরিকতা আছে। তাতে রাজশাহীর নদী বন্দরের সমস্যা কাটবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও নদীর নাব্যতা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে বন্দর নিয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দিকে নাব্যতা আমরা রাখতে পারব। যদি এখানে (সুলতানগঞ্জে) বন্দর হয়। তাহলে আমাদের নাব্যতা রাখতে হবে। সেভাবে একটা যৌথ আলোচনা নিশ্চয়ই হবে। তার ভারতের ইন্টারেস্ট তাদের মালামাল বিক্রি হোক। ওখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যারা আছেন তারা নিশ্চয়ই তাদের সরকারকে বলবে নাব্যতা রাখার জন্য।

তিনি বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এটা আমি পজিটিভলি দেখব। নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সব পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, নাব্যতার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আমাদের। আমাদের যেটুকু পোশন আছে এটা আমরা ডেজিং করতে পারব। কিন্তু আন্তর্জাতিক নদী ওই পাড়ে হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে ডেজিং করা সম্ভব না। আমাদের পাশে ভারত। তারা যদি নাব্যতা না রাখে তাহলে আমরা তাদেরকে রিকোয়েস্ট করতে পারব। আমরা তাদের হয়ে নাব্যতা রক্ষা করতে পারব না। নাব্যতার সংকট হবে যখন নদীতে পানি কম থাকবে। পদ্মাতে পানি রেগুলেটেড। কখনো কম থাকে, কখনো বেশি থাকে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। এর আগে উপদেষ্টা সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও কোর্ট অফ কল সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফের এয়ার ইন্ডিয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি, উড্ডয়ন বাতিল

নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বাড়লে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের নৌপথ উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম মোংলাসহ অন্যান্য পোর্টগুলোতে বেশির ভাগ সমস্যাই ছিল এনবিআর কেন্দ্রীক, তবে বিশেষ করে এনবিআর এর বর্তমান সেটাপের আন্তরিকতা আছে। তাতে রাজশাহীর নদী বন্দরের সমস্যা কাটবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও নদীর নাব্যতা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে বন্দর নিয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দিকে নাব্যতা আমরা রাখতে পারব। যদি এখানে (সুলতানগঞ্জে) বন্দর হয়। তাহলে আমাদের নাব্যতা রাখতে হবে। সেভাবে একটা যৌথ আলোচনা নিশ্চয়ই হবে। তার ভারতের ইন্টারেস্ট তাদের মালামাল বিক্রি হোক। ওখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যারা আছেন তারা নিশ্চয়ই তাদের সরকারকে বলবে নাব্যতা রাখার জন্য।

তিনি বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এটা আমি পজিটিভলি দেখব। নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সব পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, নাব্যতার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আমাদের। আমাদের যেটুকু পোশন আছে এটা আমরা ডেজিং করতে পারব। কিন্তু আন্তর্জাতিক নদী ওই পাড়ে হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে ডেজিং করা সম্ভব না। আমাদের পাশে ভারত। তারা যদি নাব্যতা না রাখে তাহলে আমরা তাদেরকে রিকোয়েস্ট করতে পারব। আমরা তাদের হয়ে নাব্যতা রক্ষা করতে পারব না। নাব্যতার সংকট হবে যখন নদীতে পানি কম থাকবে। পদ্মাতে পানি রেগুলেটেড। কখনো কম থাকে, কখনো বেশি থাকে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। এর আগে উপদেষ্টা সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও কোর্ট অফ কল সরেজমিন পরিদর্শন করেন।