নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তাদের বেশিরভাগেই গোপন ঠিকানায় থাকা বা বিদেশ গিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার খবর আসছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সামরিক বিমানে ভারতে পাড়ি জমান এবং দিল্লির নিরাপত্তা জোনে প্রশাসনীয় নিরাপত্তায় রয়েছেন। সেখান থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিকমাধ্যমে নিয়মিত নানামুখী বক্তব্য প্রকাশ করছেন। শেখ রেহানা, দীর্ঘদিন লন্ডনে বাস করলেও, ৫ আগস্টের আগে ভারতে অবস্থান করেন, পরে লন্ডনে ফিরে যান; বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার নামে দেশটিতে ১৩টি বাড়ি ও শপিংমলের মালিকানার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক জব্দের উদ্যোগ নিয়েছে। মাঝে মাঝে ফেসবুক লাইভে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন, এবং তিনি জুন মাসে ভারতের সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ভারতের হু-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতেন; কিন্তু দুর্নীতি ও অর্থ লোপাট অভিযোগে তিনি বর্তমানে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে আছেন এবং ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ রেহানার সন্তানরা—রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও আজমিনা সিদ্দিক অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে। তাদের বিরুদ্ধে অনুদান-ট্যাক্স ফাঁকি ও সম্পদ লেনদেন সম্পর্কিত অভিযোগ তদন্তাধীন।
শেখ পরিবারের অন্য সদস্য, শেখ আবু নাসেরের সন্তানদের মধ্যে হেলাল উদ্দিন, সালাহউদ্দিন জুয়েল ও তন্ময় ভারতে অবস্থান করছেন। সোহেল, রুবেল ও বেলাল সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তার পরিবার ভারত ও লন্ডনে ওঠানামা করেন; সেলিম ভারতের পটভূমি থেকে রাজনৈতিক তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।
শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে ফজলে শামস পরশ ও শামীল তাপস বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। তারা ৫ আগস্টের আগে বা পরে সেই দেশে উড়াল দেন। শেখ ফজলুল রহমান মারুফ ক্যাসিনোকাণ্ডের সময় আলোচিত ছিলেন; সন্দি ঘোষণায় তিনি সিঙ্গাপুর হয়ে দুবাইতেও ভ্রমণ করেছেন বলে শোনা গেছে।
শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবস্থান নিয়ে মেয়াদভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে; কেউ কেউ ভারতের পথে পাড়ি দিয়েছেন, কেউ ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতা হারানোর পর থেকে শেখ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের ঠিকানা গোপন রাখার চেষ্টা চলছে। সরকারি কিংবা দলীয় কোনো পদে তারা আর নেই, তবে তাদের সম্পত্তি লেনদেন ও রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে তদন্ত এখনও অব্যাহত।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















