Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনার শঙ্কা

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নির্মিত ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজে ব্যয় হয় ২ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ব্রিজের রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। দক্ষিণ পাশেই রয়েছে জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।

ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে মাঝেমধ্যে পাটাতনের ফাঁকে পা ঢুকে যায়। বৃষ্টির দিনে আরো বেশি ভয় করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বছরের পর বছর তারা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম মিয়া নামে একজন বলেন, জীবনে অনেক ব্রিজ দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ানক অবস্থা কখনো দেখিনি। দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছে। আমরা না জানি কখন একটা বড় দুর্ঘটনার খবর শুনব।

কৃষক আবদুস ছামাদ বলেন, কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হলে আমাদের এই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সবসময় ভয় করে, বড় বোঝা নিয়ে যদি পড়ে যাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠেছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার দায় এড়ানো যাবে না।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যে আকাঙ্ক্ষায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হটিয়েছি তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি : নাহিদ ইসলাম

মানিকগঞ্জে জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নির্মিত ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজে ব্যয় হয় ২ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ব্রিজের রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। দক্ষিণ পাশেই রয়েছে জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।

ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে মাঝেমধ্যে পাটাতনের ফাঁকে পা ঢুকে যায়। বৃষ্টির দিনে আরো বেশি ভয় করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বছরের পর বছর তারা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম মিয়া নামে একজন বলেন, জীবনে অনেক ব্রিজ দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ানক অবস্থা কখনো দেখিনি। দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছে। আমরা না জানি কখন একটা বড় দুর্ঘটনার খবর শুনব।

কৃষক আবদুস ছামাদ বলেন, কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হলে আমাদের এই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সবসময় ভয় করে, বড় বোঝা নিয়ে যদি পড়ে যাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠেছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার দায় এড়ানো যাবে না।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।