বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পুরানো রডের ব্যবহার সহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কালাইয়া আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নতুন কক্ষ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা একটি কক্ষ ও বাথরুম নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান এ এম এম-এম কে নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মূল ঠিকাদার কাজটি সাব-ঠিকাদারের কাজে বিক্রি করে দিয়েছেন। শাহজাদা নামে এক ব্যক্তি সাব-ঠিকাদার ওই কাজ করছেন। কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার নতুন কক্ষের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। শ্রমিকেরা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য রডের জালি বাঁধছেন। তাতে নতুন রডের পরিবর্তে পুরানো রড ব্যবহার করছেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নজরে আসলে কাজ বন্ধ করে দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাপের মুখে সাব ঠিকাদার পুরানো রড সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। তবে পরে বাজার থেকে যে রড আনা হয়েছে তাও নিম্ন মানের রড।
নির্মাণ কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক জানান, ঠিকাদার রডের জালিতে পুরানো রড ব্যবহার করতে বলেছেন। আমরা তার (ঠিকাদার) কথা মত পুরানো রড ব্যবহার করেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাধা দিয়েছেন বলে তাই ঠিকাদার ফোন দিলে পুরানো রড সরিয়ে ফেলতে বলেছেন আমরা সরিয়ে ফেলছি।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ছাদ ঢালাইয়ের জন্য শ্যাটারিং শেষে রডের জালি বাধার কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা ওই জালিতে পুরানো রড ব্যবহার করায় বিষয়টি নজরে আসলে আমরা (শিক্ষকরা) বাঁধা দেই। এবং এলজিইডিকে জানাই। পরে পুরানো রড সরিয়ে ফেলেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাব ঠিকাদার শাহজাদা বলেন, মিস্ত্রি ভুল করে পুরানো রড দিয়েছিল। জানার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সরকারি কাজ এমনই। আওয়ামী লীগের আমলের চেয়ে এখন কাজ ভালো করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডির উপ- প্রকৌশলী ও নির্মাণ কাজ তদারক কারি কর্মকর্তা আলী ইবনে আব্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুরানো রড সরিয়ে নিতে বলছি। ইতিমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।