Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি : 

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার চকলেংগুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কলমাকান্দা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) ও তার স্ত্রী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চকলেংগুরা গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১)। নিহত দম্পতির দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন সোহাগ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

জানা যায়, নিহত সোহাগ পেশায় রাজমিস্ত্রীর সহকারী ছিলেন। তিনি অনেক দিন যাবৎ তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। রোববার সকালে কুড়ালিয়া গ্রামের ঝুমার বাবা রহিম উদ্দিনের বসতঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, তিন বছর আগে সোহাগ ও ঝুমার বিয়ে হয়। সোহাগ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। শনিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যান এই দম্পতি। পরে ভোরে বাড়ির অন্য সদস্যরা দেখতে পান ঘরের ভিতরে ধরণার সঙ্গে (বাঁশের সাপোর্ট দেওয়া) রশিতে সোহাগ ও ঝুমার মরদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ওসি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বছর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিনটি সামরিক মহড়া হবে

নেত্রকোনায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি : 

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার চকলেংগুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কলমাকান্দা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) ও তার স্ত্রী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চকলেংগুরা গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১)। নিহত দম্পতির দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন সোহাগ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

জানা যায়, নিহত সোহাগ পেশায় রাজমিস্ত্রীর সহকারী ছিলেন। তিনি অনেক দিন যাবৎ তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। রোববার সকালে কুড়ালিয়া গ্রামের ঝুমার বাবা রহিম উদ্দিনের বসতঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, তিন বছর আগে সোহাগ ও ঝুমার বিয়ে হয়। সোহাগ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। শনিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যান এই দম্পতি। পরে ভোরে বাড়ির অন্য সদস্যরা দেখতে পান ঘরের ভিতরে ধরণার সঙ্গে (বাঁশের সাপোর্ট দেওয়া) রশিতে সোহাগ ও ঝুমার মরদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ওসি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।