আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিসহ মোট ১৩১ বিদেশিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১-এ মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি।
সোমবার (১৪ জুলাই) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (বিসিপিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেরত পাঠানো এসব যাত্রী পর্যাপ্ত অর্থ, নির্ভরযোগ্য আবাসনের প্রমাণ ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট না করার মতো নানা কারণে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাননি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কিছু পর্যটক এক মাস থাকার দাবি করলেও তাদের কাছে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত ছিল, যা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কেএলআইএ টার্মিনাল ১-এর আন্তর্জাতিক আগমন হল এবং গেট সি১ থেকে সি৩৭ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩০০ জনের বেশি বিদেশিকে স্ক্রিনিং করা হয়।
যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ এবং ৫ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক রয়েছেন।
মালয়েশিয়ান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষাই তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ভুয়া নথি বা সন্দেহজনক উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারা আরো জানিয়েছে, বিদেশিদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের আগে ভ্রমণ নথি, আবাসনের পরিকল্পনা এবং আর্থিক সংস্থানগুলো আসল এবং পর্যাপ্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ হওয়ার পর মানবপাচারকারীরা বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে বিদেশগামীদের পাঠাচ্ছেন। এতে কিছু মানুষকে পাঠাতে পারলেও অধিকাংশই সে দেশের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়ে নিজ দেশে ফিরে আসছেন। কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকার পরও ভুয়া ডকুমেন্টস দেখিয়ে প্রফেশনাল ভিসা, স্টুডেন্ট না হয়েও স্টুডেন্ট ভিসা এবং সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থ না নিয়েও ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক হচ্ছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। এতে করে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ ট্যুরিস্টরাও আশঙ্কায় পড়ছেন।