নিজস্ব প্রতিবেদক :
তারেক রহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন না করলে নির্বাচন হবে না। আবার কেউ কেউ বলে, শাপলা না দিলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে। খবরদার, খবরদার, শহীদ জিয়ার ধানের শীষ নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। খবরদার শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। তার সন্তানকে নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। যে সন্তানের জন্য গত ১৬ বছর এই নেতারা জীবন বিসর্জন দিয়ে, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, হাঁটু পানিতে বাস করে- এই দলকে তারেক রহমানের নির্দেশে টিকিয়ে রেখেছে; সেই দলের নেতাকে নিয়ে আপনি কটূক্তি করবেন, তা হতে পারে না। বরদাস্ত করা হবে না।
জয়নুল আবদিন বলেন, এটা হাসিনা পাইছেন? এটার নাম খালেদা জিয়া। আপস করতে জানেন না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ১/১১- এর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশে নেই। দেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশের মানুষকে সেবা করার জন্য; আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে। অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না এমন দলের নেতাদের মুখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই ভাষা এখানে ব্যবহার করতে চায় না। শুধু বলতে চাই, যারা একাত্তরের যুদ্ধকে স্বীকার করে না; যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না; তাদের সাথে জোট বেঁধে…।
তিনি আরো বলেন, লন্ডন বৈঠক এবং কয়েকদিন আগে যখন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন, তখনই মিটফোর্ডের সামনে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত খুঁজে বের করতে হবে। জাড়িতদের খুঁজে বের করার দায় দায়িত্ব আপনাদের (সরকার) নিতে হবে, কারা এই নির্বাচনের আগে হত্যা করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজকে পাঁচ দিন হলো তাদের কেন খুঁজে বের করলেন না।
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো একটা লোক। একটা সততার প্রতীক, উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাকে নিয়ে কথা বলে। বিষয়টা কী? টাকা? মাল? লাভ হবে না।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতে ইসলাম সহযোগিতা করছিল, তাদের তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। জাতীয় পার্টি সাহায্য করছিল, বিলীন করে দিয়েছে। এক-এগারোর ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছে। এখনও পঞ্চম, ষষ্ঠবারের মতো যারা আজকে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করতে চান, তাদের সঙ্গে মিলে সম্প্রতি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচনকে ব্যাহত করার যে ষড়যন্ত্র, তা রুখে দেওয়া হবে।
১৬ বছর তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যে সংগ্রাম করেছেন সেই সংগ্রামের ফল জুলাই-আগস্ট উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দয়া করে আবার নতুন করে আমাদের মাঠে নামাবেন না। আমরা মাঠে আর নামতে চাই না। আমরা এখন নির্বাচনে গ্রামে গঞ্জে যেতে চাই, মানুষের সেবা দিতে চাই। ১৬ বছর যেই টাকাগুলো লুট করে নিয়ে গেছে, সেই টাকাগুলো আবার সঞ্চয় করে বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে শান্তি পৌঁছে দেব।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, বরগুনাতে আমাদের ইমামকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে, চাঁদপুরের ব্যাপারও সহ্য করেছি। কিন্তু সহ্যের একটা সীমা আছে। সীমা আমরা রক্ষা করতে চাই। কারণ আমার নেতা বলেছেন, সরকার গঠন করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। সরকার গঠন করতে হলে দিনের ভোট দিনে করতে হবে। জনগণের ভোটের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। জনগণের সেবা করতে হবে।