Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের আগুন : মা-বাবার পর মারা গেল শিশুটিও

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে জমে থাকা গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মা-বাবার পর না ফেরার দেশে চলে গেল সাড়ে ৩ বছরের শিশু রাফিয়া।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশু রাফিয়ার। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজনই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আইসিইউতে ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় শিশুটি। এর আগে গত বুধবার বিকেলের দিকে শিশুর মা ইতি বেগম (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) এবং বাবা মো. রিপন (৭০ শতাংশ দগ্ধ) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ওই গৃহবধূ, তার স্বামী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। একে একে পরিবারের তিনজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

১০ জুলাই রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার শহীদ ফারুক সড়কের গলির ভেতর একটি বাসার ছয়তলার নিচ তলায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে আজ ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের আগুন : মা-বাবার পর মারা গেল শিশুটিও

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে জমে থাকা গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মা-বাবার পর না ফেরার দেশে চলে গেল সাড়ে ৩ বছরের শিশু রাফিয়া।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশু রাফিয়ার। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজনই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আইসিইউতে ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় শিশুটি। এর আগে গত বুধবার বিকেলের দিকে শিশুর মা ইতি বেগম (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) এবং বাবা মো. রিপন (৭০ শতাংশ দগ্ধ) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ওই গৃহবধূ, তার স্বামী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। একে একে পরিবারের তিনজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

১০ জুলাই রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার শহীদ ফারুক সড়কের গলির ভেতর একটি বাসার ছয়তলার নিচ তলায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে আজ ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল।