Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী।

শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্লেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরাও মনে করি, নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা ২টা না ৩টা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে—সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না। কিন্তু কায়দা কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী ফ্যাতনা বিষয় সামনে এনে নির্বাচনকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকারকে অনুরোধ করব ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে, নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় এখন যে সংকট সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।

তিনি বলেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা দুইটা না তিনটা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে দেশছাড়া হবে, সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, কায়দা-কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী বিষয় সামনে এনে নির্বাচনটাকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে আনা হচ্ছে। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ মনে করে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি যে এবারই প্রথম ক্ষমতায় যাবে তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন, তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয়—এখন যে সংকট, সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপির ওপর আক্রমণ, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত সাজা, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে সাজা, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্য প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিরোধী দলের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে মনে করেছিলেন যে, বিএনপি আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। জনগণের মার দুনিয়ার বাইর। শেখ হাসিনা তার জান বাঁচাতে বসতবাড়ি-ভিটা সবকিছু রেখে পালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা বিএনপি ছাত্রদলসহ যারা বুকের রক্ত দিয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা এখন আহত, তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব যেমন সরকার নিয়েছে, বিএনপিও নিয়েছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে, তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এ জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীন দলের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার। বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্য নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী।

শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্লেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরাও মনে করি, নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা ২টা না ৩টা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে—সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না। কিন্তু কায়দা কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী ফ্যাতনা বিষয় সামনে এনে নির্বাচনকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকারকে অনুরোধ করব ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে, নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় এখন যে সংকট সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।

তিনি বলেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা দুইটা না তিনটা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে দেশছাড়া হবে, সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, কায়দা-কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী বিষয় সামনে এনে নির্বাচনটাকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে আনা হচ্ছে। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ মনে করে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি যে এবারই প্রথম ক্ষমতায় যাবে তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন, তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয়—এখন যে সংকট, সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপির ওপর আক্রমণ, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত সাজা, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে সাজা, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্য প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিরোধী দলের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে মনে করেছিলেন যে, বিএনপি আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। জনগণের মার দুনিয়ার বাইর। শেখ হাসিনা তার জান বাঁচাতে বসতবাড়ি-ভিটা সবকিছু রেখে পালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা বিএনপি ছাত্রদলসহ যারা বুকের রক্ত দিয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা এখন আহত, তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব যেমন সরকার নিয়েছে, বিএনপিও নিয়েছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে, তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এ জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীন দলের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার। বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্য নেতারা।