মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজার পাশের খাঁনবাড়ি এলাকায় তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি প্রাইভেট কারসহ পাঁচটি যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে এ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে লোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা গোলচত্বর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে মাওয়াগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার কাছে পৌঁছানোর পর ব্রেক ফেল করে। এতে বাসটির সঙ্গে ইলিশ পরিবহনের একটি বাস, গোসাইরহাট এক্সপ্রেসের একটি বাস, একটি প্রাইভেটকার ও একটি জিপ গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা অভিমুখী ইমাত পরিবহনের একটি বাস ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি প্রথমে একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এরপর একে একে একটি জিপ ও দুটি বাসকে ধাক্বা দেয়। ইমাত পরিবহনের ধাক্কা দেওয়া ইলিশ পরিবহনের একটি বাস আবার উঠে পড়ে একটি অটোরিকশার ওপর। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় একজন অটোচালক বলেন, প্রতিদিন এখানে অনেক লোকজন থাকে। আজ ভাগ্য ভালো, বেশি ভিড় ছিল না। না হলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতো।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের উচ্চগতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।