জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ থেকে শেখ হাসিনার অব্যাহতির আবেদন খারিজ করার মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর নির্দেশনাসহ ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তারসঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে।
অভিযোগ থেকে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ২১দিন পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ আবু সাঈদ হত্যা মামলার পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
গত ৭ জুলাই শুনানি শেষে আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওইদিন শেখ হাসিনা ও কামালকে নিরাপরাধ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী। আর আইনে সুযোগ থাকা শর্তেও মামলা থেকে অব্যবহিত চেয়ে কোনো আবেদন বা শুনানি করেননি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত ১ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিচার শুরুর আবেদন করে প্রসিকিউশন। আর গত ১২ মে এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে রিপোর্ট দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরপর ১ জুন শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এই তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি প্ররোচনা, নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি এবং জয়েন্ট ক্রিমিনাল ইন্টারপ্রাইজের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যার স্বপক্ষে আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া সংক্রান্ত শেখ হাসিনার অডিও এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিল করেছে প্রসিকিশন।